বন্ধ হচ্ছে সিটিসেল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৬, ০৮:২৩ পিএম

দেনার দায়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে পুরোনো বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেল। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘বকেয়া টাকা পরিশোধে সিটিসেলকে বারবার সময় দেয়ার পরও বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে (বিটিআরসি)।’

তিনি আরও জানান, বর্তমানে সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে টুজি লাইসেন্সের তরঙ্গ বরাদ্দ ও নবায়ন ফি বাবদ পাওনা ২২৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ ২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বার্ষিক তরঙ্গ ফি বাবদ ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের ৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ ১০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ ৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা ও বিলম্ব ফি বাবদ ১৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা।

গ্রাহকসহ সিটিসেল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করে সেবা নেয়ার জন্য সময় দেয়া হলো। এছাড়া সিটিসেলের টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এদিকে সিটিসিলের প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবার লাইসেন্স পায় সিটিসেল। তবে প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিতে শুরু করে ১৯৯৩ সাল থেকে। যাত্রার সময় এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মুঠোফোন অপারেটর। প্রথম থেকেই সিটিসেল বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস) মোবাইল অপারেটর হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে সিটিসেলে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকম। এর মধ্যে প্যাসিফিক মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ফার ইস্ট টেলিকমের ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল। প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকমের কর্ণধার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ খান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম