বন্ধ হয়ে গেল সিটিসেলের কার্যক্রম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০১৬, ০৬:৫০ পিএম

ঢাকা: পাওনা পরিশোধ করতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেল দেশের প্রথম বেসরকারি মালিকানাধীন মোবাইল ফোন কোম্পানি সিটিসেল।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসিবিটি’র চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ মহাখালীতে সিটিসেলের কার্যালয়ে যান। তিনি স্পেকট্রাম স্থগিতসহ কার্যালয় সিলগালা করে দেন। এর ফলে বন্ধ হয়ে গেল সিটিসেলের সব ধরণের কার্যক্রম।

এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) সিটিসেল কোম্পানি বিটিআরসিকে ১৩০ কোটি আর এনবিআরকে ১৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে। 

তবে কর্মকর্তারা জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী পুরোপুরি অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। যেটা পরিশোধ করা হয়েছে তা অপর্যাপ্ত। তারা আরো জানান, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা প্রায় ৪৭৭ কোটি টাকা। এ অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় কয়েকদিন আগেই সিটিসেল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর এর প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহককে গেল ১৬ আগস্টের মধ্যে অন্য অপারেটরের সেবা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।

এব্যাপারে গণমাধ্যমকে জানাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম আজ (২০ অক্টোবর) সন্ধ‌্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।

সূত্রমতে, টুজি লাইসেন্স ও বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নবায়ন ফিসহ সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির রাজস্ব বয়েকা ছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে আইন পর্যালোচনা করে গত ১৮ আগস্ট সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এক্ষেত্রে ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে যে কোনো সময় বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিলসহ কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। সিটিসেলের গ্রাহকদের বিকল্প খুঁজে নিতে সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট নোটিশ জারি করে সাত দিন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিটিআরসি।

সূত্রমতে, দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী ফার ইস্ট টেলিকম ও প্যাসিফিক মোটরস বর্তমানে সিটিসেলের ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক। এর মধ্যে ফার ইস্ট টেলিকমের শেয়ার ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ আর প্যাসিফিক মোটরসের ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল। উল্লেখ্য, প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকমের কর্ণধার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ খান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর