সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এখন অনেক তরুণের স্বপ্ন। বিশেষ করে ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতারা চান—তাদের তৈরি ভিডিও যেন লাখো মানুষের নিউজফিডে পৌঁছে যায়। কিন্তু কীভাবে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়? এর পেছনের রহস্য এবার সামনে এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুকের অ্যালগরিদম এখন “ওয়াচ টাইম”-কেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। অর্থাৎ, দর্শক যতক্ষণ ভিডিও দেখে, ভিডিওটির ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা ততই বাড়ে।
উ
দাহরণ হিসেবে বলা হয়—আপনার ভিডিও যদি দুই মিনিটের হয় এবং গড়ে দর্শক এক মিনিটের বেশি সময় ধরে দেখে, তবে সেই ভিডিওর ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
ভিডিওর রিচ বাড়াতে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাবধান—যেসব ফলোয়ার ভিডিও না দেখে শুধু লাইক বা কমেন্ট করে চলে যায়, তারা আসলে ক্ষতি করে। কারণ এতে ওয়াচ টাইম কমে যায় এবং ফেসবুক ভিডিওর রিচ সীমিত করে দেয়।
ভাইরাল ভিডিও তৈরির চারটি কার্যকর কৌশল
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—ভিডিওকে ভাইরাল করতে হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে:
১. আকর্ষণীয় ও আলোচনাযোগ্য টপিক বেছে নিন।
২. প্রথম ১০ সেকেন্ডেই দর্শকের মনোযোগ কাড়ুন।
৩. নির্দিষ্ট বিরতিতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন।
৪. অরিজিনাল ও সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরি করুন।
অনেক নির্মাতার ভাষায়, “যেখানে কষ্ট নাই, সেখানে সফলতাও নাই।” ভিডিও তৈরি শুধু শখ নয়—এটি সময়, পরিশ্রম ও পরিকল্পনার কাজ। সফল হতে হলে জানতে হবে কোন সময় ভিডিও পোস্ট করলে বেশি দর্শক পাওয়া যায়, কীভাবে তাদের ধরে রাখা যায়, এবং কীভাবে ওয়াচ টাইম বাড়ানো যায়।
আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া শুধু বিনোদনের নয়, ক্যারিয়ার গড়ারও প্ল্যাটফর্ম। সঠিক কৌশল জানলে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই একটি ভিডিও লাখো দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারে। তাই এখনই সময়—নিজের আইডিয়ায় বিশ্বাস রাখুন, সৃজনশীলভাবে কনটেন্ট তৈরি করুন এবং দেখুন ফেসবুক কীভাবে আপনাকেও ভাইরাল তারকায় পরিণত করে!
এম