পেপ্যাল জুম সার্ভিসের যাত্রা শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০১৭, ১১:৪৩ এএম

ঢাকা: অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় অর্থ স্থানান্তরের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পেপ্যাল জুম সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সাড়ে ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

দেশের অনলাইন পেশাজীবীরা মনে করেন, দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে পে-পালের সব ধরনের সেবা দ্রুত নিয়ে আসা জরুরী।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সব থেকে বড় উৎস পণ্য রপ্তানি ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। তবে এর বাইরেও আর একটি নতুন উৎসের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। ঘরে বসেই ডলার আয়ের এই উৎসের নাম অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং।

তবে সেই আয় সঠিক পথে দেশে নিয়ে আসা অনলাইন পেশাজীবীদের জন্য সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই অনলাইন পেশাজীবীদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল আন্তর্জাতিক ভাবে জনপ্রিয় অর্থ স্থানান্তরের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পে-পালের। অবশেষ এই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের।

কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার বলেন, যেভাবে আমরা পেপ্যালকে চাচ্ছিলাম সেভাবে পাইনি। জুম বা অন্য মাধ্যমে এসেছে।

এ বিষয়ে বিডি সফট ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শাকিল আরেফিন বলেন, টাকা আনার যে পদ্ধতিটা সেটা হয়ত পুরোপুরি পূরণ হবে না। তবে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা আনার যে চাহিদাটা সেটার অনেকটাই পূরণ হবে।

অপর একজন ফ্রিল্যান্সার বলেন, পেপ্যাল তাদের টুইটার পেজে জানিয়েছে, তারা আপাতত বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করছে না। জুম বাংলাদেশে আগে থেকেই ছিল। আমাদের ধারনা জুমটাই আরেকটু ব্যাপক পরিসরে কার্যক্রম শুরু করবে।

প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র বৈদেশিক রেমিটেন্স আহরণ ও বিতরণ কার্যক্রম চালু হলেও ধীরে ধীরে পেপ্যালের সব ধরণের সেবাই নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, আগামী ১৯ অক্টোবর আমরা পেপ্যালের উদ্বোধন করব। আপাতত জুম এর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করবে। এতে করে ৪০ মিনিটেই ফ্রিল্যান্সাররা তাদের টাকা পাবেন। পরবর্তীতে পুরো কার্যক্রমই চালু করা হবে। পেপ্যালের অন্য সুযোগগুলো চালু করতে নভেম্বরে পেপ্যালের একটি টিম আসবে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ধীরে ধীরে আগাচ্ছি।

এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ১৯৪তম দেশ হিসেবে অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সুযোগ পেলো বাংলাদেশ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন