বংশবৃদ্ধির জন্য শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ করে দেবে মানু

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০১৬, ০৪:৫০ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক

সন্তান জন্মদানের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে মানুষ হয়তো আর শারীরিক সম্পর্ক করবে না, নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমনটাই জানা গেছে। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি-এর আইন ও জীনতত্ত্ববিষয়ের অধ্যাপক হেনরি গ্রিলি 'দ্য এন্ড অফ সেক্স অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ হিউম্যান রিপ্রোডাকশন' নামের একটি বই প্রকাশ করেছেন। এই বইয়ে তিনি দাবি করেছেন, "২০, বা হয়তো ৪০ বছর পর, উন্নত দেশগুলোর অধিকাংশ মানুষ বংশবৃদ্ধির জন্য শারীরিক সম্পর্ক করা বন্ধ করে দেবে।”

শারীরিক সম্পর্কের জায়গায় মানুষ বিজ্ঞানাগারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সন্তান উৎপাদন করবে বলে মত দিয়েছেন গ্রিলি। তিনি বলেন, "যখন কোনো দম্পতি সন্তান চাইবে, স্বামী শুক্রাণু সরবরাহ করবে আর স্ত্রী তার চামড়ার অংশ সরবরাহ করবে।"

এরপর চামড়ার ওই অংশ থেকে স্টেম কোষ উৎপন্ন করা হবে। আর এখান থেকে সন্তান উৎপাদন করা হবে। এর মাধ্যমে কাম উত্তেজনা আর আকর্ষণীয় অন্তর্বাস নিয়ে প্রচলিত পুরনো ভাবনা দূর হবে। আর শিশু উৎপাদনের প্রক্রিয়া না হয়ে শারীরিক সম্পর্ক একটি শখের কাজ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর।  
এখানেই শেষ নয়, সন্তান কেমন হবে তার জন্য প্রকৃতির উপর নির্ভর না করে, পিতামাতারা নিজেরাই তা ঠিক করতে সক্ষম হবেন, অনেকটা নিজেদের জন্য
'কাস্টমাইজড' কম্পিউটার তৈরির মতো। পিতামাতারা নিজেরাই ঠিক করবেন তার সন্তান কতোটা বুদ্ধিমান ও স্বাস্থ্যবান হবে।
গ্রিলি বলেন, "আমরা এমনটা বলতে পারব না যে- 'এই শিশুর এত শতাংশের বেশি বুদ্ধিমত্তা রয়েছে। বরং আমরা সম্ভবত এটা বলতে পারব যে- 'এই শিশুর প্রথম অর্ধেকে থাকার ৬০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে'।"

অসুস্থতার চিকিৎসা এতটাই বেশি যে, ব্রিটেনের মতো যেসব দেশে করদাতাদের শিশু চিকিৎসার জন্য তহবিল দিতে হয়, সেসব জায়গায় একজন রোগা শিশু জন্ম দেওয়া একটি 'বিশাল সমস্যা' হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন গ্রিলি।

বিজ্ঞানাগারে জন্ম নেওয়া শিশুদের কি 'কেনার আগে যাচাই করুন' ভিত্তিতে দেওয়া হবে, নাকি ১৪ দিনের মধ্যে কোনো ফেরত দেওয়া না হলে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না এই ভিত্তিতে আর এই শিশু কি ইন্টারনেটে কেনা যাবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়, এমনটাই ভাষ্য মিরর-এর।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন