এই কৌশলে এসি চালালে বিদ্যুৎ বিল বাড়বে না

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০১৯, ০৮:৩৫ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: প্যাচপ্যাচে গরমে নাকাল হয়ে বাড়ি ফিরে এসি চালিয়ে খানিক স্বস্তি পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল দফারফা করে দিতে পারে পকেটের। কাজেই চাই এমন কিছু দাওয়াই, যাতে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না। অর্থাৎ এসির হাওয়াও খাওয়া হল অথচ বিদ্যুতের বিলও বাঁচল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন সতর্ক হতে হবে এসি কেনার সময়েই। যত বেশি স্টার তত কম বিদ্যুৎক্ষয়, মানতে হবে এই সহজ-সরল নিয়ম। পাশাপাশি স্টার রেটিং যত বেশি হবে, ততই বাড়বে এসির দাম। তাই অনেকেই ফাইভ স্টার এসি কেনার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব সময় ফাইভ স্টার এসি কেনার দরকার হয় না। এসি যদি বছরে গড়ে ১০০০ ঘণ্টার কম চলে এবং বিদ্যুতের ইউনিট পিছু খরচ যদি ৫ টাকা হয় তবে ৩ স্টার স্প্লিট এসি কিনলেই চলবে। কিন্তু এসি যদি গড়ে বছরে ১০০০ ঘণ্টা থেকে ১৫০০ ঘণ্টা চলে তবে ফাইভ স্টার স্প্লিট এসি কেনাই ভাল।

এ তো গেল এসি কেনার সাতকাহন। কিন্তু রোজের দাওয়াই? রইল এসি ব্যবহারের পকেট-ফ্রেন্ডলি নিদান:

এসির টেম্পারেচার অবশ্যই ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে থাকা চাই। এসি যত কম তাপমাত্রায় চালানো হবে, তত বেশি চাপ পড়বে কম্প্রেশারে। চড়চড় করে চড়বে বিল।

রাতে স্লিপ মোডে চালান এসি। বিদ্যুৎ অপচয় কমবে। ভোরের দিকে এসি বন্ধ করে দেওয়ার অভ্যেস তৈরি করতে পারলে ভাল। রাতে ঘণ্টা পাঁচেক এসি চললে, পরবর্তী কিছু ক্ষণ এসি ছাড়া থাকাই যায়।

এসি পুরনো হয়ে গেলে তা পালটে নেওয়া একটি ভালো কৌশল হতে পারে। পুরনো এসিগুলো সে রকম বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নয়।

এসির ফিল্টারটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিষ্কার করতেই হবে।

এসিতে টাইমার ব্যবহার করুন যাতে ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যায় যন্ত্রটি।

আপনার সিলিং ফ্যানটিকেও ব্যবহার করুন এসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।

দিনের বেলা ঘরে তাপ ঢোকার উৎসগুলিকে বন্ধ করুন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই