শুরু হলো জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

  • কামাল শাহরিয়ার | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৯, ১২:৩৪ পিএম

‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশু প্রোগ্রামারা’ শিরোনামে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হলো জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। বুধবার (২২ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) কনফারেন্স হলে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসর।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন, সিআরআই-এর সহযোগী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদসহ আয়োজন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তিতে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকারের আইসিটি ডিভিশন ও তারুণ্যের প্লাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’র আয়োজনে এবার দেশের ৬৪ জেলায় ২০০টি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবকে’কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতা হবে। বৃহস্পতিবার ২৩ মে, প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার পর জেলার নির্বাচিত ল্যাবগুলোতে চলবে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা।

আয়োজন প্রসঙ্গে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অ্যাসোসিয়েট কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ বলেন, গতবারের ন্যায় জাতীয় শিশুকিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় এবারও শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রাখা হয়েছে এই প্রতিযোগিতায়। প্রোগ্রামিংয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা এবং তাদের আগ্রহের জায়গাটি সহজ ও উপভোগ্য করতে আমরা শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। প্রথমদিন স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং বিষয়ে এবং শেষ দিন পাইথন ভাষার উপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

আয়োজকরা জানান, কর্মশালায় দেশের ৬৪ জেলার ৪০০ জন শিক্ষক, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ২০০ জন ল্যাব কো-অরর্ডিনেটরসহ মোট ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে শেষ  হবে দু’দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

এদিকে, জেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া। রেজিস্ট্রেশনের জন্য http://nctpc.srdlict.com ঠিকানায় লগইন করতে অনুরোধ করেছে আয়োজকরা।

গতবারের মতো এবারো চারটি ক্যাটাগরিতে হবে প্রতিযোগিতা। সংশ্লিষ্টসূত্রে, যেকোন বিদ্যালয়ের শিশু থেকে ২য় শ্রেণির শিক্ষার্র্থীরা স্ক্র্যাচ জুনিয়র, ৩য়-৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্ক্র্যাচ, ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাইথন জুনিয়র এবং ৯ম-১০ম শ্রেণি ও সদ্য পাসকরা এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পাইথন সিনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এবারই  এসএসসি পাসকৃতদেরও সুযোগ দিচ্ছে আয়োজকরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২০০টি ল্যাবে শুরু হবে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ। প্রত্যেকটি ল্যাবে ওই অঞ্চলের সবকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। প্রতিটি ল্যাবে গড়ে ৭৫জন করে দেশব্যাপী প্রায় ১৫০০০ শিক্ষার্থীকে এই প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আইসিটি শিক্ষক এবং ল্যাব প্রশিক্ষক তার ল্যাবের সেরা প্রতিযোগীদের বাছাই করবেন। প্রতি ল্যাব থেকে স্ক্র্যাচের জন্য ৩জন করে টিম গঠন করা হবে, ৫টি টিমে মোট ১৫জন শিক্ষার্থী প্রতিটি ল্যাব থেকে স্ক্র্যাচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। পাইথনের জন্য প্রতিটি ল্যাব থেকে ১৫জন শিক্ষার্থী এককভাবে অংশ নেবে। প্রাথমিক ভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে জাতীয় ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে সাভার শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে। প্রতি জেলা থেকে বিজয়ী স্ক্র্যাচ টিম এবং বিজয়ী পাইথন প্রতিযোগীরা জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দিয়ে ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে।সেখান থেকে বাছাই করা হবে সেরা টিম। সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন