মাদকে ধ্বংসের পথে তারুণ্য

  • বিশেষ প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২১, ১১:৫৩ পিএম

ঢাকা : রাজধানীর উত্তরার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান আফসারা। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা। এখানে পড়াশোনা অবস্থাতেই বন্ধুদের সঙ্গদোষে ঝুঁকে পড়েন ইয়াবায়। প্রথমে তার পরিবার বুঝতে না পারলেও আফসারার চলাফেরায় এক সময় পরিবার ঠিকই বুঝতে পারে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

এমন অবস্থায় পরিবার বন্ধু-সঙ্গ কাটাতে দেশে না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে আফসারা বিদেশ যেতে না চাইলেও এক সময় পরিবারের চাপে রাজি হয়ে যায়। আফসারাকে পাঠানো হয় মালয়েশিয়ায়। কিন্তু নেশার ঘোর কাটে না আফসারার। সেখানে গিয়েও ইয়াবা না পেলেও মদ-বিয়ারে আসক্তি ছিল তার। একপর্যায়ে বাড়ির পাঠানো টাকা শেষ হলে সে সেখানে চুরি করার শুরু করে। এক পর্যায়ে সেখানে চুরির ঘটনায় পুলিশের কাছে ধরা পড়লে তাকে ওই দেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়। আফসারার নষ্ট এ জীবন দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার।
দেশে ফেরার পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে আফসারা। সে যোগ দেয় অন্য আরেকটি চক্রে। বনানী এলাকার এ চক্রটি রাতের অন্ধকারে আফসারাকে রাস্তায় ছেড়ে দেয়। রাতের রাস্তায় কোনো মেয়েকে একা চলতে দেখে অনেকেই নানা প্রস্তাব দেয়। চক্রটি আফসারাকে রাস্তায় ছেড়ে তারা আশপাশে অবস্থান নেয়। যখন কেউ তার সঙ্গে কথা বলতে যায় সুযোগ বুঝে অন্যরা দ্রুত সেই লোককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে থাকে। এভাবেই চলছিল আফসারার জীবন।

এমন অবস্থায় ঘটনার শিকার এক ভুক্তভোগী পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশও পুরো চক্রকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। একপর্যায়ে আফসারাসহ এ চক্রের আরো তিন সদস্যকে আটক করে পুলিশ। সঙ্গে উদ্ধার হয় তিনটি বিদেশি পিস্তল আর কিছু ইয়াবা। বনানী থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ আর অনুসন্ধানে উঠে আসে আফসারার জীবনের এসব তথ্য।

শুধু কি আফসারা! বর্তমানে ইয়াবা নামের ভয়ংকর এ নেশায় শত শত আফসারা এখন বিপথগামী। রাজধানীসহ সারা দেশে ভয়ংকর মাদকের আগ্রাসনে বিপথগামী তরুণ-তরুণীসহ প্রায় সব বয়সি মানুষ। এমন অবস্থা যেন বানের পানির মতো দেশের সীমান্ত গলিয়ে প্রবেশ করছে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য।

এছাড়া রাজধানীতেও গড়ে উঠেছে ইয়াবা বাণিজ্যের সংগঠিত নেটওয়ার্ক। মিরপুরে মিলেছে ইয়াবা তৈরির কারখানা। যেখানে প্রতিদিন ৫০ হাজার পিস ইয়াবা তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল কারখানাটি। এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই রাজধানী গলিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ংকর আসক্তি।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অলিগলি, মোড়ে মোড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ সব ধরনের মাদক।

পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি, সিআইডি, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব সংস্থার সদস্যরা রাত-দিন মাদকবিরোধী অভিযানে থাকেন। প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার পিস ইয়াবা ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ হয়। কিন্তু কিছুতেই কিছু বন্ধ হচ্ছে না মাদকের স্রোত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া তথ্য ও অনুসন্ধানে মাদকের ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে।

ইয়াবার প্রেমে উন্মাদ : দেশজুড়ে চলছে ইয়াবার বাজার। মাদকবাজারে কেনাবেচার শীর্ষে রয়েছে সর্বগ্রাসী ইয়াবা। রাজধানীর অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ইয়াবার অভিন্ন আস্তানা গজিয়ে উঠছে। মাদকটি আকারে ছোট হওয়ায় সহজে বহন করা যায়। এ কারণে অন্য মাদকের তুলনায় ইয়াবা সেবনকারী ও বিক্রেতারা খুব সহজে নিরাপদে সেবন ও বিক্রয় করতে পারে।

ভয়ংকর তথ্য হলো, দিন দিন ইয়াবা আসক্ত তরুণীর সংখ্যা বাড়ছে। খারাপ ও বড়লোকের বখে যাওয়া ছেলে বন্ধু বা মেয়ে বন্ধুর মাধ্যমে অনেকেই এই জগতে প্রবেশ করছে। অনেকে আবার স্রেফ কৌতূহলের বশেও ২-১ বার ইয়াবা সেবন করে স্থায়ীভাবে আসক্ত হয়ে পড়ে।

যাদের মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ইয়াবার ভয়াবহতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সরকারের দায়িত্বশীল সব মহলকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে।

৩২ ধরনের মাদকের ছড়াছড়ি : দেশে বর্তমানে ৩২ ধরনের মাদক সেবন চলছে। এর মধ্যে শীর্ষে ইয়াবা। অন্যগুলো হলো হেরোইন, গাঁজা, চোলাই মদ, দেশি মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, রেক্টিফাইড স্পিরিট, কেডিন, ফেনসিডিল, তাড়ি, প্যাথেডিন, ব্রুপ্রেনরফিন, টিডি জেসিক, ভাং, কোডিন ট্যাবলেট, ফার্মেন্টেড, ওয়াশ (জাওয়া), বনোজেসিক ইনজেকশন (বুপ্রেনরফিন), টেরাহাইড্রোবানাবিল, এক্সএলমুগের, মরফিন, আইসপিল, ভায়াগ্রা, সানাগ্রা, টলুইন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, মিথাইল, ইথানল ও কিটোন।

এছাড়া ইনোকটিন, সিডাক্সিনসহ বিভিন্ন ঘুমের ট্যাবলেট, জামবাকসহ ব্যথানাশক ওষুধ কিংবা টিকটিকির লেজ পুড়িয়ে কেউ কেউ নেশা করে থাকে। এসব দ্রব্যের নেশাজনিত চাহিদা থাকায় বেশির ভাগই ভেজাল উৎপাদিত হচ্ছে দেশেই।

হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন : নিত্যনতুন কৌশলে পাচার হয়ে আসা মাদকদ্রব্য ধরতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। সারা দেশে র‌্যাব র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের অব্যাহত অভিযান সত্ত্বেও মাদকের আগ্রাসী থাবা বন্ধ হচ্ছে না। সরকারি কঠোর ব্যবস্থাপনার মধ্যেও মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে, সচল থাকছে তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা। মাদক আমদানি, সরবরাহ ও বিপণনব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে একের পর এক কৌশল পাল্টাচ্ছে তারা। এসব নিত্যনতুন কৌশলে পাচার হওয়া মাদক ধরতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। ইদানীং বাক্প্রতিবন্ধী (বোবাদের) মাধ্যমেও পাচার করা হচ্ছে ইয়াবা।

এতে ইয়াবাসহ বোবারা ধরা পড়লেও তারা মূল মাদক ব্যবসায়ীর নাম-পরিচয় কিছুই জানাতে পারে না, দিতে পারে না স্বীকারোক্তিমূলক কোনো জবানবন্দি। অন্যদিকে একশ্রেণির হিজড়ারা আনা-নেয়া করছে ফেনসিডিল।

তাছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্টিকার লাগানো গাড়ি, সেনা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের প্লেট লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেও মাদক পাচার করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের আভ্যন্তরীণ ৪৭টি রুটের যানবাহন ও ট্রেনে অবাধে মাদক আনা নেয়া চললেও খুবই সীমিত পরিমাণ মাদক আটক করতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, মাদক মাদকদ্রব্যগুলোর মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট আসে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুট হয়ে।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাদহ, মেহেরপুর রাজশাহী, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও ফেনীর সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে আসে ফেন্সিডিলের চালান।

এছাড়া সীমান্ত গলিয়ে বাংলাদেশে অহরহ আসছে হেরোইন, গাঁজা, হুইস্কি, বিয়ার, রিকোডেক্স, সেনেগ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও নেশার ইনজেকশন। ব্যবসায়ীরা যশোর, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, মুন্সীরহাট, বিলোনিয়া, কালীরহাট, পাঠাননগর, রানীরহাট, কুমিলা, সুয়াগাজী, চৌদ্দগ্রামসহ ৫১২টি সীমান্ত পয়েন্ট গলিয়ে অহরহ ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা, আফিমসহ নানা রকম মাদকের চালান ঢুকছে দেশে।

মাদকে লেনদেন ৬০ হাজার কোটি টাকা : ইয়াবার গ্রাসে ধ্বংস তারুণ্য দেশের ৭০ লাখ মাদকাসক্তকে ঘিরে বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের বহুমুখী বাণিজ্য চলছে। মাদক আমদানি, বেচাকেনা, চোরাচালান, মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো বেপরোয়া বাণিজ্য, মাদক প্রতিরোধের নামে আড়াই শতাধিক এনজিওর বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর বছরব্যাপী নানা অভিযান, মামলা পরিচালনাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এই বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়ে থাকে।

আইসিডিডিআরবির সমীক্ষায় বলা হয়, একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির মাদক ব্যবহারজনিত ব্যয় বছরে ৫৬ হাজার ৫৬০ টাকা থেকে ৯০ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে ৬৬ লাখ মাদকসেবী বছরে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে থাকে।

এর সঙ্গে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, এনজিও কার্যক্রম ও সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আরো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় বলে জানা গেছে। তবে গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মাদকাসক্ত ব্যক্তির বার্ষিক গড় ব্যয় আড়াই লক্ষাধিক টাকা।

কটিভ টুয়েন্টি-ফোরটি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন মাদক জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০০২ সালেও বাংলাদেশে মাদকাসক্তরা বছরে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করত। এখন সে ব্যয়ের পরিমাণ পাঁচ গুণ ছাড়িয়ে গেছে।

মাদক-সংক্রান্ত মামলার চিত্র : সারা দেশে বর্তমানে প্রায় ৫০ হাজার মাদক-সংক্রান্ত মামলা ঝুলে আছে। র‌্যাব ও পুলিশের হাতে তদন্তাধীন মামলার সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে তদন্তাধীন মামলা রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন্স) জানান, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অহরহ। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই তারা আইনের ফাঁক-ফোকর গলিয়ে জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে আটক করা মাদকগুলোর বেশির ভাগই ভেজাল মিশ্রিত। এ কারণে অভিযুক্তদের সাজা নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে পড়ে।’

রাজধানীতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এমন তিন শতাধিক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর তালিকা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বিভিন্ন থানা এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে এই তালিকা করা হয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ের এসব ব্যবসায়ীর গডফাদাররা এখনো পর্দার আড়ালেই রয়ে গেছেন। প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকের নামই তালিকায় নেই। এসব তালিকা হালনাগাদ করতেও তেমন আগ্রহ  দেখাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মাদকে শীর্ষে কুমিল্লা-টেকনাফ : মাদক বাণিজ্যে কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষস্থান দখল করে আছে, এর পরের স্থানেই আছে কক্সবাজারের টেকনাফ অঞ্চল।

ছাড়া যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, জয়পুরহাট, দিনাজপুরসহ ১০টি সীমান্ত জেলাতেও মাদকের বেপরোয়া ছড়াছড়ি রয়েছে। কুমিল্লা জেলায় প্রতি মাসে ২০০ কোটি টাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন আটজন প্রভাবশালী নেতা। মাদক বাণিজ্যের লাভ-ক্ষতি লেনদেনের ক্ষেত্রে সরকারদলীয়, বিরোধীদলীয় নেতাদের চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে।

সীমান্ত গলিয়ে মাদকদ্রব্য আমদানি, সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিঘ্নে সরবরাহ দেয়াসহ পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচা পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহসানুল জব্বার বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে আমরা সে দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। আমরা বারবার বলেছি সীমান্তগুলো দিয়ে ইয়াবার চালান আসছে। পাশাপাশি ইয়াবা তৈরির কারখানার বিষয়েও অবহিত করা হয়েছে। এর পরও সেই সীমান্তগুলো দিয়ে ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ইয়াবা ছাড়াও দেশে বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এটি খুবই উদ্বেগ জনক। আমরা নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এমনকি মাদকে জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি ইব্রাহিম ফাতেমি বলেন, পুলিশ প্রাত্যহিক অভিযানের মধ্যে মাদকবিরোধী অভিযান অন্যতম। সারা দেশে পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রেখে চলেছে। তার পরও একটি চক্র বাজারজাত অব্যাহত রেখেছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। পাশাপাশি পুলিশের মধ্যেও কেউ যদি এ ধরনের কাজে জড়িত থাকে তবে তাদেরও খুঁজে বের করে ইতিমধ্যে সাজার আওতায় আনা হয়েছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, র‌্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে তার মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অন্যতম। সারা দেশে র‌্যাব প্রতিনিয়ত মাদক উদ্ধার করে চলেছে। আমাদের সীমিত জনবলের মধ্যেও ভয়ংকর নেশা মাদককে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই