নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কার্যক্রম তছনছ!

  • জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০১৬, ০৪:৫৬ পিএম

জঙ্গি দমনে পুলিশি অভিযানের ধারাবাহিকতায় গেল প্রায় সাড়ে তিন মাসে ৩৩ জন ভয়ঙ্কর জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরা প্রায় সবাই নব্য জেএমবির কমান্ডার থেকে একেকজন সক্রিয় সদস্য। 

পুলিশের দাবি, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে বেশির ভাগ জঙ্গি নেতা ও এর সদস্যরা গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। আর একের পর এক অভিযানের ফলে নব্য জেএমবির কার্যক্রম অনেকটাই ভেঙে পড়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার  (এডিসি) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, গেলো বছর হোসাইনি দালানে হামলার পর মূলত নব্য জেমবি’র কার্যক্রম বেড়ে যায়। তখন থেকেই আমরা সজাগ ছিলাম তাদের সদস্য সংগ্রহ, ট্রেনিং, নেতৃত্ব এসব বিষয়ে। এর ফলে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা হয়ে যায়। আর এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা নিয়মিত বিভিন্ন অভিযান চালাই। যার মাধ্যমে ভেঙে পড়েছে নব্য জেএমবি।

গেলো ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর থেকেই বেশ শক্তভাবে তাদের দমনে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৮টি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর রাজধানীর কল্যাণপুর, রূপনগর, আজিমপুর ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল এবং সবশেষ সাভারের আশুলিয়ার বসুন্ধরা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এসব অভিযানে নব্য জেএমবি’র মূল অর্থ যোগানদাতা আব্দুর রহমান, ঢাকা জেলা জেএমবি আঞ্চলিক কমান্ডার আকাশ, শীর্ষনেতা তামিম চৌধুরী, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার অন্যতম দু’ পরিকল্পনাকারী মেজর জাহিদুল ইসলাম ও তানভীর কাদরীসহ ৩৩ জঙ্গি মারা যান।

কমান্ডো অভিযানে ৫ জঙ্গি মারা যায় গুলশান হামলার ঘটনায়। শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা যায় আরো দুই জঙ্গি। কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে মারা যায় ৯ জঙ্গি। রূপনগর ও আজিমপুর আস্তানায়  অভিযানে  মারা যায় আরো দু’জঙ্গি। যাদের মধ্যে ছিল গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মেজর জাহিদুল ইসলাম ও তানভীর কাদরী।

নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে মারা যায় নব্য জেএমবি’র শীর্ষনেতা তামিম আহমেদ চৌধুরী ও তার দুই সহযোগী। সবশেষ সাভার, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীর আলাদা চারটি অভিযানে আরো ১২ জঙ্গি মারা যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি