বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে কর্ণফুলী টানেল

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০১৬, ১১:৪৬ এএম

সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ। এর ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। এ টানেলকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চীনের সাংহাই নগরীর আদলে গড়ে উঠবে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন চায়না সিটি। যেখানে সাড়ে সাতশো একর জায়গায় স্থান পাবে দেড়শ ভারী শিল্প-কারখানা। শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এ দু’টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।

এক সময় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণকে কল্পনা বলে মনে করা হতো। তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আট হাজার কোটি টাকার বৃহৎ এ প্রকল্পের বাস্তবে রূপ দিতে ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশে আসছেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে ৩ হাজার ১'শ ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় নগরীর পতেঙ্গা’র নেভাল থেকে শুরু হয়ে এ টানেল শেষ হবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারায়। নদীর তলদেশ দিয়েই চলাচল করবে সব ধরণের যানবাহন। আর আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সাংহাই নগরীর অনুকরণে গড়ে তোলা হবে সবগুলো স্থাপনা।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, 'ঢাকা বা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে কক্সবাজারের একটা যোগাযোগ গড়ে উঠবে। এই যোগাযোগের ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটা নতুন শহর গড়ে উঠার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে মূলত জাহাজ নির্মাণ, তৈরি পোশাক, ঔষধ, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, প্লাস্টিক, তথ্য প্রযুক্তি এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতি নির্মাণ কারখানা গড়ে তোলা হবে। যার ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করবে চীন সরকার এবং বাকিটুকু বিনিয়োগ করবে দেশটির ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটির চেয়ারম্যান পবন কুমার চৌধুরী বলেন, 'টেক্সটাইল শিল্প এখানে পুনস্থাপন হবে এবং কেমিকেল সেক্টরের বেশ কিছু শিল্প এখানে হবে। প্রযুক্তিভিত্তিক অনেক শিল্প এমনকি গবেষণাগারও গড়ে উঠতে পারে।'

চায়না সিটি গড়ে তোলার জন্য ২'শ ৯১ একর খাস জমি বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৪'শ ৩০ একর জায়গা অধিগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ