রাজধানীতে কোরবানি ঘিরে রমরমা মৌসুমি ব্যবসা

  • সোনালী বিশেষ | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০১৭, ১১:৩৬ এএম

ঢাকা : ঈদের পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে মূলস্রোতের বাইরে জমে উঠছে কিছু মৌসুমি ব্যবসা। কিছু বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে প্রতিবারই ঈদের আগে পশুর হাটের আশপাশসহ বিভিন্ন স্থানে নেমে পড়েন অনেকেই।

কোরবানির আগে তিন থেকে চার দিন ধরে জমে ওঠে পশুর খাবার ঘাস, শুকনো খড়, ভুসি, কাঁঠালপাতাসহ আনুষঙ্গিক নানা উপকরণের ব্যবসা। এতে যেমন উপকৃত হয় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তেমনি বিপদে পড়তে হয় না কোরবানি পশুর ক্রেতা-বিক্রেতারা।

ঢাকার বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা গেছে, পশুর হাটের পাশেই পশুর খাবার ঘাস, শুকনো খড়, ভুসি, কাঁঠালপাতা এবং পাটিসহ আনুষঙ্গিক নানা উপকরণ সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কেউ বা আবার হাটের মধ্যে ঘুরে ঘুরে ফেরি করে এসব উপকরণ বিক্রি করছে।

পশুর খাবারের পাশাপাশি আরো বিক্রি হচ্ছে গরু-ছাগল সাজানোর কাপড় কিংবা রঙিন কাগজের মালা, রঙিন দড়ি এবং লাঠি। মালা প্রতিপিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা। জরির মালা ১৫ থেকে ২০ টাকা। রিং মালা প্রতিপিস ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পাঁচ হাত ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ১০ হাতের রশি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। কোরবানির আনন্দ উৎযাপন করতে ক্রেতারাও উৎসাহী হয়ে কিনছেন এসব পণ্য।

গাবতলীতে পশু কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, গরুকে বেঁধে রাখার জন্য নতুন দড়ি কেনা হয়েছে। এছাড়া মালা কিনে গরুর গলায় পরিয়ে দিয়েছেন। এতে আনন্দ বাড়ছে।

রাজধানীর আগানগর পশুর হাটে গরু কিনেতে আসা একজন ক্রেতা জানান, গরু কিনেই আগে খাবারের সন্ধানে এসেছেন। কিনেছেন ঘাস ও ভুসি। তিনি জানান, এবার অনেকটা আগেভাগেই গরু কেনা হয়েছে। তাই খাবারও কিনতে হচ্ছে।

এসব পণ্য জোগান দেয়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা থাকায় অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে তাদের বাড়তি আয় মিলছে। কেরানীগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী রহিম। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়তি আয়ের জন্য গত দুইদিন ধরে এই ব্যবসায় নেমেছেন তিনি। বিল থেকে ঘাস কেটে এনে পশুর হাটের পাশে বিক্রি করছেন তিনি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। গতকাল ৬০০ টাকা আয় হয়েছে। আজও ভালোই বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির আগের তিন দিনে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকার মতো বেচাবিক্রি হবে বলে আশা করেন রহিম।

আরেক ব্যবসায়ী রাসেল জানান, সারাবছর ফেরি করে নানা জিনিসপত্র বিক্রি করেন তিনি। বছরের এই সময়ে মৌসুমি ব্যবসায় নেমে পড়েন। গতবছর কোরবানির আগের তিন থেকে চার দিনে তিনি ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করেছিলেন। এবারও ভালো ব্যবসা হবে বলে জানান রাসেল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই