নির্দেশ দেবেন তারেক, বাস্তবায়ন করবেন ৭ নেতা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০১৮, ০৯:২০ পিএম

ঢাকা: ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হলে বিএনপির হাল কে ধরবেন এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। তবে দলীয় সূত্র জোর দিয়ে বলছে, লন্ডনে বসেই দল পরিচালনা করবেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত নেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যদের। আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য এ ব্যাপারে বিশেষভাবে দক্ষ এমন সাত নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। আর রায়ের দিন রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক শোডাউনের প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে বলেও সূত্র জানিয়েছে। 

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই তা বিদেশিদের জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য দলটির কূটনৈতিক উইংয়ের সদস্যরা দুটি পর্যালোচনা সভা করেছেন। তাতে ৪৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং ২০টি বিদেশি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 

সূত্রে জানায়, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ মামলার রায়কে ঘিরে আন্দোলনসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির নেতারা। খালেদা জিয়ার সাজা হলে তার অনুপস্থিতিতে দল পরিচালনা করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় দল পরিচালিত হবে। ইতোমধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশের ইউনিট-ভিত্তিক পদধারী নেতাদের ফোন নম্বরসহ যোগাযোগের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে তা লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

আন্দোলন সফল করতে স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে তার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দেয়ার জন্য লন্ডন থেকে পরামর্শ এসেছে খালেদা জিয়ার কাছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটকে প্রস্তুত থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার মামলার বায়ের আগে-পরে করণীয় ঠিক করতে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটি এবং আগের রাতে ২০ দলীয় জোটের সভা করেছেন খালেদা জিয়া। এর আগে সকালে গুলশান কার্যালয়ে দলটির নেতারা যৌথসভা করেন।

সকল বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল খালেদা জিয়ার মামলা। মামলায় সাজা হলে শরিক দলের নেতারাও বিএনপির সঙ্গে অতীতের মতো সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। 

অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখান থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় কৌশল এবং রায়-পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সভার অনুমতি না মিললে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করার প্রস্তুতি রয়েছে দলটির। 

সোনালীনিউজ/জেএ