ডিএমপির ভিডিও রেকর্ড শুরু

আইন অমান্যের ফুটেজ দেখে মামলা!

  • সোনালী বিশেষ | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০১৮, ০২:৩১ পিএম

ঢাকা : ট্রাফিক আইন অমান্য বন্ধ করতে ভিডিও রেকর্ডের ব্যবহার শুরু করেছে ডিএমপি। মালিকের অজান্তেই রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে আইন ভাঙার ছবি সেই সূত্র ধরেই মামলা হচ্ছে গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে।

ভালো ফল পাওয়ায় এই ব্যবস্থা আরো উন্নত করার পরিকল্পনা করছে পুলিশ। সড়কে গাড়ি রেখে অন্যের অসুবিধা সৃষ্টি বা ট্রাফিক আইন না মানাকে মামুলি ব্যাপার মনে করেন অনেকেই। নানা চেষ্টায়ও বন্ধ হয়নি এই প্রবণতা।

নিয়ম ভেঙে পার পাওয়ার সুযোগ বন্ধে ভিডিও রেকর্ড ব্যবহার শুরু করেছে ডিএমপি। ভিডিও ক্যামেরাসহ রাস্তায় থাকছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। কেউ আইন অমান্য করলে তার অজান্তেই রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে ছবি। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সূত্র ধরে মামলার সমন চলে যাচ্ছে গাড়ির মালিকের ঠিকানায়।

রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ছয় মাস আগে এই ব্যবস্থা চালু করেছে ডিএমপি। এরইমধ্যে ভিডিওচিত্রের ওপর ভিত্তি করে মামলা হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। এতে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে বলছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

ভিডিওচিত্রের ভিত্তিতে মামলাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন চালকেরাও। তবে আইন প্রয়োগের সঙ্গে পার্কিং সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন চালকেরা।

ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে গাড়ির রাখার কিছু স্থান নির্ধারণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীতে ভিডিওচিত্রসহ প্রমাণ রেখে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম এই চার বিভাগে রয়েছে চারটি মিডিয়া টিম।

তারা চাহিদামতো ও ঘুরে ঘুরে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন। বিশেষ করে অবৈধ পার্কিং, উল্টোপথে চলাচলকারীদের বিরুদ্ধে এ মামলা বেশি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা।

ভিডিও ও ছবিসহ মামলা হওয়ায় প্রভাবশালীদের দাপট দেখানোর সুযোগও অনেকটা কমেছে বলে দাবি করছেন মাঠপর্যায়ের ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, সরাসরি কারও বিরুদ্ধে মামলা দিতে গেলে প্রথমে তারা (অভিযুক্ত) মানতে চান না। অনেকেই ক্ষমতার দাপট দেখান। কিন্তু ভিডিওসহ মামলা চালু হওয়ার পর থেকে তারা আর সেই সুযোগ পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট বলেন, আইন ভাঙা নিয়ে যেন একটা প্রতিযোগিতা হয়। সব শ্রেণির মানুষই সে প্রতিযোগিতায় থাকে। কিন্তু যারা প্রভাবশালী তারা আইন ভাঙলেও তা মানতে চান না। সব সময় ছাড় চান।

আর আমরা যদি সেই ছাড়টা না দেই, তখনই তর্ক-বিতর্ক হয়। উল্টো আমাদের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়। এখন ভিজ্যুয়াল প্রমাণসহ যে মামলাগুলো হচ্ছে, এতে কোনও ঝামেলা হচ্ছে না। কেউ চ্যালেঞ্জ করলে আমরা প্রমাণ দেখাচ্ছি। সেটা তারা অস্বীকার করতে পারছেন না।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি