স্কুল শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য চলছেই!

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৮, ০২:৩৯ পিএম

ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নানা রকম বিধি-নিষেধের পরও কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদেরকে কোচিং করাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষকরাই। এদিকে, জেএসসি ও পিইসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে চটকদার বিজ্ঞাপন ব্যবহার করছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, এ বাণিজ্য এখনই বন্ধ না করলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়।
 
রাজধানীর আজিমপুরে আসন্ন জেএসসি ও পিইসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ব্যনারে, পোস্টারে ছেয়ে গেছে চায়না বিল্ডিংয়ের গলি। ছাত্রছাত্রীরা জানান,  কোচিংয়ের স্যারের কাছে আমরা ফ্রাঙ্কলি প্রশ্ন করতে পারি।

কোচিং সেন্টারগুলো এ ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করছে তাদের কোচিংয়ে ভর্তি হতে। আর ভালো ফলাফলের চাপ ও প্রলোভনে পড়ে বরাবরের মতোই শিট ভিত্তিক এসব কোচিং সেন্টারে ঝুকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর কোচিং সেন্টারগুলোয় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরাই এসব শিক্ষর্থীদের পড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, নিজেদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে পাঠদান করছেন তারা।
 
শিক্ষকদের একজন বলেন, অন্তত ফিফটি থাউজেন্ড টাকা লাগে এই সিটিতে বসবাস করতে। একজন শিক্ষককে কখনোই প্রতিষ্ঠান থেকে এই টাকা দেয়া হয় না।

আর শিক্ষাবিদরা বলছেন, নির্ধারিত শিট ভিত্তিক এই খন্ডিত পড়ালেখার জন্য অনেকাংশেই শিক্ষার্থীরা তাদের মূল পাঠ্য বই থেকে সরে যাচ্ছে। আর তার ফলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই রয়ে যাচ্ছে মৌলিক জ্ঞান থেকে দূরে। যার প্রভাব দেখা যায় উচ্চ শিক্ষার ফলাফলে।

শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যারা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন তাদের পুরো এজেন্ডাই বাণিজ্য। ব্যবসা করে শিক্ষা হয় না। মূল বই না পড়েও পরীক্ষায় পাস করা যায় এমনটা ভাবছেন শিক্ষার্থীরা।

২০১২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা প্রণয়ন করে স্কুলের শিক্ষকদের তাদের নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করানোর ওপর বিধি- নিষেধ আরোপ করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষা নিয়ে যে বাণিজ্য করে চলেছে তা এখনি বন্ধ করা না গেলে দেশে শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।


সোনালীনিউজ/জেডআরসি/আকন