তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রোগের প্রকোপ

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০১৬, ০১:১২ পিএম

সোনালীনিউজ রিপোর্ট

চলমান প্রচন্ড গরমে দেশজুড়েই বাড়ছে নানা রোগের প্রকোপ। বিভিন্ন বয়সের মানুষ গরমের তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তায় দুষিত পানি ও শরবত খেয়ে ডায়রিয়া ও পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

মার্চ থেকে গরম শুরু হলেও এপ্রিল মাসের প্রথম থেকেই ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, আমাশা, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ অন্যান্য রোগ বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমে আক্রান্তের খবর আসছে। দিনে ৪শ/৫শ ডায়রিয়া আক্রান্ত থেকে শুরু করে হাজারের বেশি মারাত্মক আক্রান্ত রোগীর খবর পাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাপ্ত তথ্য থেকে বেসরকারি হিসাবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ অনেক রোগীই বেসরকারি ও প্রাইভেট চেম্বারে চিৎিসা নিচ্ছে। যার হিসাব আসছে না অধিদফতরে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে তীব্র গরমের কারণে দেশে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ওরস্যালাইনসহ বিভিন্ন ধরনের ডায়রিয়া চিকিৎসার ওষুধের চাহিদা বাড়ছে।

আর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অসাধু ওষুধের দোকানের মালিকরা দোকানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে স্যালাইন বেশি দামে বিক্রি করছে। যদিও পাইকারি ওষুধের দোকানে পর্যাপ্ত স্যালাইন রয়েছে বলে জানা যায়। তবে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওরস্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, প্রচন্ড গরমে খেটে খাওয়া মানুষ রাস্তার পাশে বিক্রি করা ধুলাবালি মিশ্রিত বরফের শরবত, তরমুজ, আনারস, কাঁচা আমসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের শরবত পান করে। তারমধ্যে ধুলাবালি ছাড়াও অন্যান্য মারাত্মক জীবাণু বহন করে। ওসব শরবত খেয়ে অনেকে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

আর দূষিত পানি ও খাবার থেকে ডায়রিয়া ছাড়াও জন্ডিস, আমাশা, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ হচ্ছে। সেজন্য বিশুদ্ধ পানি পান জরুরি। পাশাপাশি বাসি, পচা খাবার খাওয়া যাবে না। এমনকি নোংরা হাত দিয়েও কিছুৃ না খাওয়া ভালো হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন- প্রচন্ড গরমে ফলে বর্তমানে ডায়রিয়ার সাথে সাথে নতুন করে চিকেন পক্সসহ বায়ু ও পানিবাহিত রোগও বাড়ছে। তাছাড়াও সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, ঠান্ডা জ্বর, সর্দি জ্বরসহ বিভিন্ন রোগেও ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এসময় প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন বা হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। ওসব ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন মাধ্যমে রোগ সৃষ্টি করে।

জীবাণু খাবারের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়। আবার এই মৌসুমে অনেকেরই জ্বর হয়। সেক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা সঠিক রাখার জন্য ঠান্ডা ও জীবণুমুক্ত জলীয় খাবার বেশি খেতে হবে। আর হাটে বাজারের রাস্তার পাশে বিক্রিকৃত শরবতসহ অন্যান্য খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কারণ ওসব খাবারে জীবাণু থাকতে পারে।

সোনালীনিউজ/আমা