৬৩ হাজার দর্শকের সামনে দুরন্ত খেলে হৃদয় জিতেছেন জামালরা

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৬:১২ পিএম

ঢাকা: ম্যাচ শুরুর বেশ কিছু দিন আগেই যুবভারতী ভরিয়ে তোলার আহবান জানিয়েছিলেন ভারতীয় কোচ ও অধিনায়ক। তা যুবভারতী ঠিকই কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু ৭০ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। সাদ উদ্দিন গোল করে লাল-সবুজের দলকে এগিয়ে দিয়েছিল। একেবারে শেষে ৮৯ মিনিটে আদিল খান গোলটা না করতে পারলে বাংলাদেশ জয় নিয়েই ফিরতে পারত। 

ম্যাচ শেষে যুবভারতীর প্রবেশদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক জ়ামাল ভুঁইয়া। সাংবাদিকরা এগিয়ে যেতেই বললেন, ‘ভারত আজ বেঁচে গেল। ম্যাচটা আমাদেরই জিতে ফেরার কথা।’ এরপর যোগ করেন, ‘এ রকম দর্শক ঠাসা ফুটবলপ্রেমীদের সামনে খেলার মজাই আলাদা। ভারত হয়তো ম্যাচটা জিততে পারেনি। কিন্তু যুবভারতীর দর্শকরা আমার মন জিতে নিয়েছে। প্রথম মিনিট থেকেই ওরা গলা ফাটিয়ে সমর্থন করে গেল।’

জ়ামাল যখন এ কথা বলছেন, তখন তাঁর পনেরো গজ দূরেই সংবাদ সম্মেলন করছিলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। তিনিও বলছিলেন, ‘ভারতীয় দর্শকদের মাঝে আমার ছেলেরা যে এ রকম দুর্দান্ত ম্যাচ খেলে দেবে, তা ভাবতে পারিনি। এ রকম সমর্থন পক্ষে বা বিপক্ষে যে দিকেই থাকুক না কেন, তা ভাল খেলার তাগিদ বাড়িয়ে দেয়।’

ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬৩ হাজার দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলেন এদিন। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পিছিয়ে গিয়েও শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরা ভারতের। জিততে না পারার দুঃখ ছিলই যুবভারতীতে এ দিন খেলা দেখতে আসা দর্শকদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ম্যাচের পরে ‘ভাইকিং ক্ল্যাপ’ দিয়ে সুনীল ছেত্রীদের উৎসাহ দিচ্ছিলেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে ভারতীয় কোচ কলকাতার দর্শকদের এই সমর্থন নিয়ে আপ্লুত। বললেন, ‘দারুণ দর্শক। ভুলতে পারব না ওঁদের। এ রকম সমর্থন! সত্যিই হৃদয় নাড়া দিয়ে গেল। জীবনে অনেক বড় ম্যাচ বড় স্টেডিয়ামে খেলেছি। কিন্তু কলকাতার এই স্টেডিয়াম ও সমর্থকেরা হৃদয়ে থেকে যাবেন।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএএইচ