বিয়ের আসর থেকে পালানো ইতিই এখন দেশের গর্ব

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০১:৪৯ পিএম

ঢাকা : বয়স মাত্র ১১ বছর। ইচ্ছে পড়াশুনা করে বড় কিছু হওয়ার। কিন্তু তার সেই ইচ্ছেয় বাদ সাধে পরিবার। নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও মেয়েটির বিয়ের আয়োজন করে পরিবার। কিন্তু মেয়ে বিয়ে করতে নারাজ। মেয়ে তো অপ্রতিরোধ্য। স্বপ্ন দেশের জন্য কিছু করার। তাই সিদ্ধান্ত নিল বিয়ের আসর থেকে পালানোর। সেই মেয়েটিই আজ বাংলাদেশের গর্ব। চলতি এসএ গেমসে দেশকে সোনা এনে দিয়েছে সে।  এই হার না মানা মেয়েটির নাম ইতি খাতুন। বাড়ি চুয়াডাঙ্গা।

জানা যায়, বাড়িতে যখন বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল, তিনি তখন বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসেন তিনি। আজ নেপালে চলমান দক্ষিণ এশীয় গেমসের আর্চারির মেয়েদের রিকার্ভ দলগত ও মিশ্র দলগত ইভেন্টে জোড়া স্বর্ণপদক জিতে নিয়েছেন তিনি। নেপালের পোখারায় রোববার মেয়েদের রিকার্ভ দলগত ইভেন্টে ভুটানের বিপক্ষে ৬-০ সেট পয়েন্টে জিতে মেয়েরা। পরে রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টে রোমান সানার সঙ্গে ভুটানকে ৬-২ সেট পয়েন্টে হারিয়ে সোনার পদক জিতেন ইতি।

 চুয়াডাঙ্গার হার না মানা মেয়েটির নাম ইতি খাতুন

ইতির এই সিনেমাটিক জীবনকাহিনীর পেছনে অবদান রয়েছে আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপলের। তার প্রচেষ্টাতেই ইতির আর্চার হয়ে ওঠা।

ইতি জানান, এই অপরিচিত খেলাটি নিয়ে শুরুতে কোনো স্বপ্ন ছিল না তার। চেয়েছিলেন পড়াশোনা করতে। পড়াশোনা করবেন বলেই তিনি বিয়ের আসর থেকে উঠে গিয়েছিলেন। চুয়াডাঙ্গার ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় নজরে পড়েন কোচদের। তীরন্দাজ সংসদ তাকে দলে নেয়। স্বর্ণ জিতে বেশ উচ্ছ্বসিত ইতি। তবে তিনি এখানে থেমে থাকতে চান না। স্বপ্ন আরও বড় কিছু করার।

সোনালীনিউজ/এএস