স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করে চট্টগ্রামকে জেতালেন ইমরুল

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০১৯, ০৫:৫১ পিএম

ঢাকা: তিনি সাধারণত এ রকম ব্যাটিং করেন না। যতটা সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে দেখালেন। বলা চলে ইমরুল কায়েস স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিংই করলেন। তার ৩৮ বলে দুই চার আর পাঁচ ছক্কার ইনিংসটিই জেতাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। ইমরুলের পাশাপাশি ৩০ বলে ৪৯ রানের দারুন এক ইনিংস খেলেছেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। এই দুজনের সৌজন্যে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছেঁ যায় চট্টগ্রাম। 

মাহমুদউল্লাহর চোটে প্রথম দুই ম্যাচ চট্টগ্রামের হয়ে অধিনায়কত্ব করার কথা ছিল ইমরুল কায়েসের। তবে শেষ মুহুর্তে টস করতে আসেন দলটির ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার রায়াদ এমরিট। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট থান্ডার ৫ রানের মাথায় হারায় ওপেনার রনি তালুকদারের উইকেট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট রক্ষক নুরুল হসান সোহানের ক্যাচে পরিণত করেন পেসার রুবেল হোসেন।

এরপর অবশ্য ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দলের সংগ্রহ বড় করার পথ তৈরি করেন। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৪৬ রান। ২৩ বলে ৭ চারে ৩৫ রান করে চার্লস নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হলে ভাঙ্গে জুটি। পরের গল্পটা কেবলই মিঠুনের। চার্লসের পর লঙ্কান ব্যাটসম্যান জীবন মেন্ডিসও দ্রুত ফিরলে মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ৯৬ রানের জুটিতে দলকে এনে দেন ৪ উইকেটে ১৬২ রানের পুঁজি।

জুটিতে মোসাদ্দেকের অবদান ৩৫ বলে ২৯ রান। মাঠের চারদিকেই নান্দনিক সব শটে ৪৭ বলে ৪ চার ৫ ছক্কায় ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩০ বলে তুলে নেন টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি। অপরাজিত থাকেন ৮৪ রান করে। বিপিএল তো বটেই, টি-টোয়েন্টিতে যেটি মিঠুনের ক্যারিয়ার সেরা রানের ইনিংস।

দলীয় ১৫৭ রানে মোসাদ্দেককে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসেন। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল হোসেন মিলন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ২৭ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার রুবেল হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ ও রায়াদ এমরিট।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএএইচ