ফিরলেন শান্তু, ফিফটি হাঁকালেন মুমিনুল

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৪:৩২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আরো একটি দুর্দান্ত ফিফটি হাঁকালেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ক্রিজে আসার পর থেকেই স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছেন মুমিনুল। দ্রুত রান তুলছেন তিনি। খেলছেন ছন্দময় ক্রিকেট। স্বাভাবিকভাবেই ক্যারিয়ারে ১৪তম ফিফটির দেখা পেয়ে গেছেন পয়েট অব ডায়নামো।  নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সূচনালগ্নেই ফিরে আসেন সাইফ হাসান। 

তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান ভিক্টর নায়াউচি। পরে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তামিম ইকবাল। ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা। একপর্যায়ে জমে যায় তাদের জুটি। ফলে জিম্বাবুয়ে বোলারদের শাসাতে শুরু করেন তামিম-শান্ত। তাতে হু হু করে বাড়ে বাংলাদেশের রান। দুজনই এগিয়ে যান ফিফটির পথে। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে সাজঘরে ফেরেন তামিম। 

ফেরার আগে ৭ চারে ৪১ রান করেন তিনি। তাতে শান্তর সঙ্গে ড্যাশিং ওপেনারের ভাঙে ৭৮ রানের প্রতিরোধ গড়া জুটি। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিয়ে খেলা ধরেন শান্ত। ক্রিজে সেট হয়ে যান তিনি। ব্যাটে ছোটান রানের ফোয়ারা। অপর প্রান্ত থেকে সমানতালে সঙ্গ পান মুমিনুলের। দুজনই দ্রুত রান তুলেন।পথিমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। হাঁটছিলেন ফার্স্ট সেঞ্চুরির দিকে। 

কিন্তু আচমকা থমকে যান তিনি। চার্লটন টিসুমার বলে উইকেটের পেছনে রেগিস চাকাভার গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে ৭ চারে ৭১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। এতে বিচ্ছিন্ন হয় ৭৪ রানের জোট। জিম্বাবুয়েকে যত দ্রুত সম্ভব গুটিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় দিনের সকালে মাঠে নামে বাংলাদেশ। 

সেক্ষেত্রে সফল হন স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের ২৬৫ রানে অলআউট করেন তারা। প্রথম দিনের ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন রেগিস চাকাভা ও ডোনাল্ড তিরিপানো। তবে নিজেদের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে তুলতে পারেননি তারা। 

ভূমিকাতেই তিরিপানোকে ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ রাহী। সেই জের না কাটতেই এন্সলে এনদিলোভুকে বিদায় করেন তিনি। পরক্ষণেই চার্লটন টিসুমাকে তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। ফলে অলআউট হওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ের। কিন্তু তা দীর্ঘায়িত করেন চাকাভা। শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরিয়েই সেই শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকেন তাইজুল। সংগ্রামী চাকাভাবে ফিরিয়ে তাদের মুড়িয়ে দেন তিনি। জিম্বাবুইয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ৩ চারে করেন ৩০ রান। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার নাঈম হাসান ও আবু জায়েদ। দুজনই শিকার করেন ৪টি করে উইকেট। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন তাইজুল। তিনি ঝুলিতে ভরেন ২ উইকেট। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে রান তোলার গতিটা ভালো ছিল না তাদের। 

শেষ অবধি ৬ উইকেটে ২২৮ রান করে তারা। সেই পথে ক্যারিয়ারসেরা সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন প্রিন্স মাসভাউরে। অনবদ্য শতরানের ইনিংস খেলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্রেগ অরভিন। ১৩ চারে ১০৭ রান করেন তিনি।

শেষ খবর পর্যন্ত পর্যন্ত ৩ উইকেটে ২৪০ রান করেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ৭৯ রানে ব্যাট করছেন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি ৩২ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ