শ্রীলঙ্কাকে ২৪৭ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২১, ০৬:০৫ পিএম
ফাইল ফটো

ঢাকা: ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে টাইগাররা। ৪৮.১ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৬ রান। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেতে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ২৪৭ রান।

মঙ্গলবার (২৫ মে) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে তার সঙ্গে নামেন লিটন দাস। ব্যাট হাতে টাইগারদের শুরুটা ছিল দারুণ। ইসুরু উদানার করা ইনিংসের প্রথম ডেলিভারিতেই চার হাঁকান তামিম। সেটি ছিল নো বল।

ফ্রি হিট বলেও চার হাঁকান দেশসেরা ওপেনার। পরবর্তী ডেলিভারি ওয়াইড দিলে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০ রান। অথচ বল ছিল মাত্র একটিই। যা বলা যায় বেশ বিরল এক ঘটনা। পরের বলে তামিম আবারো চার হাঁকালে দুই বলে টাইগারদের স্কোরবোর্ডে রান ছিল ১৪! 

প্রথম ওভার বাজে হলেও পরের ওভারেই জোড়া আঘাত হানে শ্রীলঙ্কা। চার বলের ব্যবধানে তামিম ও সাকিব দুজনকেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান দুশমন্থ চামিরা। আউট হওয়ার আগে তামিম ১৩ রান করলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। 

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর সাবধানে খেলতে থাকেন লিটন ও মুশফিক। শুরুটা একটু ধীর হলেও আস্তে আস্তে রানের গতি বাড়াতে থাকেন দুজন। বাংলাদেশ যখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপেক্ষায়, তখনই সান্দাকানের বলে হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪২ বলে ২৫ রান করেন এ ওপেনার।

লিটন দাস আউট হলে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সৈকত। তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলের হাল ধরে ইনিংস এগিয়ে নেয়াই তার দায়িত্ব ছিল। তবে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। সান্দাকানের বলে সাজঘরে ফেরার আগে মোটে ১২ বল ক্রিজে টিকতে পেরেছিলেন এ অলরাউন্ডার।

এই অবস্থায় দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরই মধ্যে মুশফিক তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটি। মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের ব্যাটে বড় সংগ্রহ দেখছিল বাংলাদেশ। তবে এক ভুল শটে ভাঙে সে স্বপ্ন।  সান্দাকানের বলে স্কুপ করতে গিয়ে কুশল পেরেরার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ। এর আগে ৪১ রান করেন তিনি। 

আউট হওয়ার আগে আফিফ হোসেন করেন ১০ রান। অন্যদিকে দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগত শূন্য রানে বোল্ড হয়ে সান্দাকানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর বেশ লম্বা সময় ধরে মুশফিককে সঙ্গে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। 

দুশমন্থ চামিরার করা ৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্লান্স করে চার মেরে সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান মুশফিক। এর আগে দুইবার মাঠে নেমেও বৃষ্টির কারণে তার সেঞ্চুরি নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। প্রথমে এই ব্যাটসম্যান ৮৫ রানে অপরাজিত থাকার সময় বৃষ্টি হানা দেয়।

দ্বিতীয়বার মাঠে নেমে আবার খেলা বন্ধ হওয়ার আগে মুশফিকের স্কোর ছিল ৯৬ রান। তৃতীয়বার খেলা শুরু হলে সেঞ্চুরি তুলে নিতে দেরী করেননি এই ব্যাটসম্যান। ১১৪তম বলে অনন্য মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে মিস্টার ডিপেন্ডেবল ১২৭ বলে ১২৫ রান করেন। 

শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন চামিরা ও সান্দাকান। এছাড়া উদানা দুটি ও হাসারাঙ্গা একটি উইকেট নেন। 

সোনলীনিউজ/এমএইচ