আমাদের ‘কৌশিক’ মাশরাফি এখন ১৬ কোটি মানুষের গর্ব

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০১৬, ১১:৩৮ এএম

বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি২০ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন হলো ৫ অক্টোবর। এই দিনেই তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন। বছর গড়িয়ে বছর আসে। এভাবেই জীবন থেকে চলে গেছে ৩৩টি বছর। অধিনায়ক ৩৪ বছরে পা দিয়েছেন।

আজ ৫ অক্টোবর নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ৩৩ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৮৩ সালের এই দিনে নানা আইনজীবী আতাউর রহমানের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেট কিংবদন্তি অধিনায়ক।

মামা নাহিদুর রহমান আদর করে ডাক নাম রাখেন কৌশিক। নড়াইলের পরিচিত সকল আত্মীয়, বন্ধু ও বড়দের কাছে কৌশিক নামের অধিক পরিচিত। বাবা গোলাম মোর্তজা শ্বপন ও মা হামিদা মুর্তজা বলাকা এর প্রথম সন্তান মাশরাফি।

তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৫ অক্টোবর বিকালে মাশরাফি ফাউন্ডেশন ও মাশরাফি ফ্যান ক্লাব আলাদাভাবে জন্মদিন পালন করবে। এছাড়া নড়াইল প্রেসক্লাবসহ নানা প্রতিষ্ঠান ক্যাপ্টেনের জন্মদিন পালন করবে। দেশসেরা এই ক্রিকেটারের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নড়াইলের বিভিন্ন প্রান্তের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু ও কাছের মানুষজন।

মাশরাফির বাবা গোলাম মুর্তজা শ্বপন ছেলের কৃতিত্বে অত্যন্ত গর্বিত। তিনি দেশের সকল মানুষের কাছে তার সন্তানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেছেন, ‘কৌশিক এখন আর আমার ছেলে নয়! বাংলাদেশের সকল বাবা-মার সন্তান। আমি কামনা করি সে বর্তমানে যেমন সবার হৃদয়ে রয়েছে, সারাজীবন যেন এভাবে কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে থাকতে পারে।’

মা হামিদা বেগম বলাকা একজন গৃহিনী। অত্যন্ত সহজ সরল এই নারীর গর্ভে জন্ম বাংলাদেশের গৌরবের। তিনি বলেন, ‘তার জন্মদিনে কখনো কেক কেটে পালন করা হয়না। এটা কৌশিক পছন্দ করে না। আমি তার জন্মদিনে নফল নামাজ পড়বো, কোরআন খতম দেয়া হয়েছে। আমি তার জন্য দোয়া করবো। আমি একা নই আমি জানি নড়াইলসহ বাংলাদেশের হাজার হাজার মা আমার কৌশিকের জন্য সবসময় দোয়া করে।’

মামা নাহিদুর রহমান এর কাছে সকল আবদার মাশরাফির। নড়াইলে আসলে মামার বাড়িতেই থাকেন তিনি। মূলত, নানা বাড়িতেই বড় হয়েছেন ম্যাশ। মামীর হাতের খাবার ছাড়া তার চলে না। মামা নাহিদুর রহমান বলেন, ‘কৌশিকের জন্মদিনে আমাদের দোয়া তো আছেই তার সাথে সারা দেশের মানুষ তার জন্য দোয়া করেন সবসময়ই। আমাদের ছোট কৌশিক এখন বাংলাদেশের ১৬কোটি মানুষের গর্ব, এটাই অভিভাবক হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’

উচুমানের এই দেশসেরা খেলোয়াড় তার শিকড়কে সবসময়ই আকড়ে রাখেন। বাল্যকালের সেইসব বন্ধুই তার সব। নড়াইলের কয়েকশ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে তিনি গোপনে সহায়তা করেন। তার সহায়তায় ডাক্তারীসহ অনেক গরীব ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে। এরকম মহানুভব একজন মানুষের দীর্ঘায়ু এমনিতেই সবাই কামনা করে।

মাশরাফির বাল্যবন্ধু রবি বলেন, ‘আমার বন্ধু পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানুষদের মধ্যে একজন। তার জন্মদিনে আমার মতো ছোট একজন মানুষের শুভেচ্ছা রইলো। তাকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। ইংল্যান্ড সফরে ওর নেতৃত্বে গৌরব বয়ে আনবে এটাই ওকে শুভেচ্ছা হিসেবে জানিয়েছি।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু বলেন, মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মাশরাফিকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তার বিচক্ষণতা, সরলতা, ভদ্রতা, দেশপ্রেমসহ অসংখ্য গুণে গুণান্বিত মাশরাফি বিন মুর্তজা যেন সুস্থভাবে ক্রিকেট খেলতে পারেন, আগামীতে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হবে এই প্রত্যাশা রইল জন্মদিনে। শুভ জন্মদিন।

নড়াইলসহ সারাদেশের ভক্তরা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরাফির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই