মাহমুদউল্লাহর বুড়ো হাড়ের ভেলকি, ফাহিমের তাণ্ডবে বরিশালের রোমাঞ্চকর জয় 

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

ঢাকা: মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় টপকেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান। 

১৬তম ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান তুলে সেই সমীকরণ সহজ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৫ রান নেন ফাহিম আশরাফ। 

দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারের এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে দুর্বার রাজশাহী। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।

[240723]
 
বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৭৮ রান, হাতে মাত্র ৪ উইকেট। তাসকিন আহমেদ-রায়ান বার্লদের দাপটে তখন অনেকটাই দিশেহারা। চাপ সামলে এই অবস্থান থেকে জয় তুলে নেয়ার ঘটনা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খুব কমই দেখা যায়। তবে সেই প্রায় অসম্ভব কাজকে সম্ভব করলেন ৩৮ বছরের বুড়ো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

তাকে সঙ্গ দিয়েছেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্যভাবে জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল।

রাজশাহীর হয়ে ৪৭ বলে ৯৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ৫১ বলে ৬৫ রান করেছেন এনামুল হক বিজয়। বরিশালের হয়ে ম্যাচজয়ী ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ফাহিম আশরাফের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪ রান।

রাজশাহীর দেয়া বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বরিশালের। ইনিংসের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১২ রানে ফেরেন তামিম ইকবাল। চতুর্থ ওভারে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা কাইল মেয়ার্সও।

বিপর্যয় সামাল দিতে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। দলীয় ৫১ রানে ফেরেন হাসান মুরাদের শিকার হয়ে। শুরুটা ভালো করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। দলকে বিপদে ফেলে ৬১ রানের মাথায় আউট হন তিনিও। এরপরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন মাহমুদউল্লাহ।

এআর