সাকিবের অন্যরকম চ্যালেঞ্জ

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০১৬, ০১:১৬ পিএম

আর একদিন পরেই চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে দুই ম্যাচের প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশ দীর্ঘ দীর্ঘ ১৪ মাস পর খেলতে যাচ্ছে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ। অনেক দিন পর খেলতে নামায় টেস্ট ম্যাচটিকে ঘিরে বেশ রোমাঞ্চিত দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। লম্বা বিরতির পর মাঠে নামাকে তিনি অন্যরকম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন।

আগামী ২০ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। অনেকদিন পর টেস্ট সিরিজে অংশ নেওয়ার ফলেই এটাকে অন্যরকম চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সাকিব। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ওয়ানডেই খেললাম এক বছর পর। ওটাও মানিয়ে নিতে প্রথম দুই-তিন ম্যাচ সময় লেগেছিল। আশা করবো সময় লাগবে না। তারপরও বলা মুশকিল, অনেকক্ষণ ধরে বোলিং করা, অনেকক্ষণ ধরে ব্যাটিং করা সবকিছুই আসলে অন্যরকম। আমার কাছে মনে হয়ে, এটা অন্যরকম একটা চ্যালেঞ্জ।’

এদিকে এ ম্যাচকে ঘিরে নিজেদের আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস কতটুকু সেটা ম্যাচে গেলেই বোঝা যাবে। এখন পর্যন্ত আমরা সবাই প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা যেহেতু অনেকদিন টেস্ট ম্যাচ খেলি না-এটা একটি মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। সত্যি কথা বলতে, এখানে খুব বেশি প্রস্তুতির কিছু নেই। মানসিক দিক থেকে যতবেশি ঠিক থাকা যাবে, আমাদের জন্য সেটাই ভালো হবে।’

হোম সিরেজের ম্যাচগুলোতে বোলারদের অনুকুলে উইকেট তৈরী করা হয় না অভিযোগ করে সাকিব বলেন, ‘আমাদের ঘরের মাঠে ব্যাটসম্যানদের জন্য ফ্ল্যাট উইকেট তৈরি করা হয়। যেখানে বোলাররা কোনও ধরনের সুবিধা আদায় করে নিতে পারে না। আমরা হোমে যখন খেলি, সাধারণত চেষ্টা করা হয় ফ্ল্যাট উইকেট বানানোর। যাতে করে ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারে। যদি কখনো স্পিনার কিংবা পেসারদের সুযোগ দেওয়া হয়, আমার মনে হয় আমাদের বোলারদের সামর্থ্য আছে ২০ উইকেট নেওয়ার। এখন যদি ফ্ল্যাট উইকেট বানানো হয় সেক্ষেত্রে বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যাবে।’

তবে শেষ মেষ মিডিয়াকে জয়ের কথাটাই শোনালেন, ‘অবশ্যই আমরা জেতার জন্য খেলবো। তার জন্য আমাদের অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সেটা আমরা জানি। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত আটটি টেস্ট খেলেছে। যার সবকটিতেই হেরেছে মুশফিক-রিয়াদরা। ২০০৩ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে খেলা প্রথম টেস্টেই তুলনামূলক ভালো খেলেছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এরপর থেকে ইংলিশদের বিপক্ষে হারের ব্যবধান বেড়েই চলেছে টাইগারদের। সর্বশেষ ২০১০ সালে ম্যানচেস্টারে খেলা ম্যাচটি হারতে হয়েছিল ইনিংস ও ৮০ রানের ব্যবধানে।

এমন সব পরিস্যংখানের সামনে যখন বাংলাদেশ, তখন টাইগাররা তাকাতে পারে তাদের সর্বশেষ ৫টি টেস্ট ম্যাচের দিকে। যেখানে গত বছর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ৫টি টেস্ট খেলেছে। তার মধ্যে একটি ম্যাচ হারলেও বাকি ম্যাচগুলো ড্র করতে সক্ষম হয়েছিল। যদিও বেশকটি ম্যাচে বৃষ্টির আশীর্বাদ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল প্রথমদিনের মতো একসঙ্গে অনুশীলন করেছে। রবিবার দল ঘোষণা হলেও সোমবার স্কোয়াডে থাকা দুই ক্রিকেটার অনুশীলন ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত ছিলেন। তাইতো আগের দিন পুরো দল নিয়ে অনুশীলন করা হয়নি হাথুরুসিংহের।

এদিন প্রায় চার ঘণ্টার মতো জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে কাটিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টে ডাক পাওয়া ১৪ ক্রিকেটার ছাড়াও এদিন অনুশীলনে তানভীর হায়দার, এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অনুশীলন করেছেন। স্টেডিয়ামের দুইপাশে থাকা চারটি উইকেটে ব্যাটসম্যান ও বোলাররা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল ফিল্ডার নিয়েও ছিলেন ব্যস্ত। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সেন্ট্রাল উইকেটের পাশে কিপিং অনুশীলন করেছেন বেশ খানিকক্ষণ।

এদিন সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ইংলিশরাও ঘাম জড়িয়েছেন। অনুশীলনে ছিলেন ইংলিশ টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকও। তিনি গত সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে পা রেখেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই