ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে সরকারের রোষানলে জোকোভিচ

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম

ঢাকা: সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুকিচ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই সমর্থন দিচ্ছেন নোভাক জকোভিচ।

আর এ কারণে সার্বিয়া প্রশাসনের চোখে তিনি এখন ‘শত্রু।’ দেশটির প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমে জোকোভিচকে ‘দেশবিরোধী’ বলা হয়েছে। ফলে বেশ চাপের মুখে ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।

অবস্থা এমন যে দেশ ছাড়তে পারেন জোকোভিচ। পরিবার নিয়ে গ্রিসে চলে যেতে পারেন তিনি। জোকোভিচ দেশ ছাড়তে চাইলে সার্বিয়া সরকার নাকি তাকে বাধা দেবে না। 

সে দেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট ভুকিচের সমর্থক কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ধারাবাহিকভাবে জোকোভিচের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছে। বিশ্বের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড়ের তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে সেসব সংবাদে।

[255095]

আন্দোলনের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোকার লিখেছিলেন, ‘যুব সমাজের উপর আমার ভরসা রয়েছে। তাদের ক্ষমতার উপর আস্থা রয়েছে। আমার মতে, উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাদের কথা শোনা জরুরি। দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি যুবসমাজ। তাদের সম্মান করা উচিত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’

গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর সেটি আন্দোলনে নিহত এক ছাত্রকে উৎসর্গ করেছিলেন জোকোভিচ। বেলগ্রেড বাস্কেটবল ডার্বি দেখতে জোকোভিচ যে টি-শার্ট পরে গিয়েছিলেন, তাতে ‘স্টুডেন্টস অ্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স’ লেখা ছিল। তারপর থেকেই প্রেসিডেন্ট ভুকিচের সমর্থক সংবাদমাধ্যমের সমালোচনার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন তিনি।

জোকোভিচের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সার্বিয়ার জন্য তার কোনো অবদান নেই। ব্যক্তিগত স্বার্থে দেশের নাম ব্যবহার করেছেন। ৩৮ বছরের এই টেনিস খেলোয়াড়ের গতিবিধির উপর নজর রাখছে প্রশাসনও। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে নিজের দেশেই আর নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছেন না জোকোভিচ। সরকার বিরোধী কয়েকটা সংবাদমাধ্যমের দাবি, পরিবারের সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গ্রিসের অ্যাথেন্সে চলে যেতে পারেন তিনি।

এআর