আইপিএলে কুলির ছেলে এখন কোটিপতি

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭, ০১:০৩ পিএম

ঢাকা: সারাবিশ্বের ক্রিকেটাররা কেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে মুখিয়ে থাকে সেটা টি. নটরাজনকে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। যার জীবনটা ছিল লুকিয়ে লুকিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলা। সোমবার নটরাজনের পৃথিবীটাই বদলে দিল আইপিএলের নিলাম। লুকিয়ে লুকিয়ে এখন আর তাকে খেলতে হবে না। বরং তার প্রতিটি ডেলিভেরির সাক্ষি হয়ে থাকবে গোটা ভারতবর্ষ। বন্ধুদের জায়গায় ব্যাট হাতে থাকবে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানরা।

ভারতের অনেক তারকা ক্রিকেটার আইপিএলে দল পাননি। তাই অখ্যাত নটরাজন দল পাবেন সেটা হয়ত তিনি ভাবেননি। আর কোনও দল নিলেও তার দাম আকাশ ছোঁবে সেটাও ছিল অচিন্তনীয়। যা ভাবেননি নটরাজন আসলে সেটাই হয়েছে। দশ লক্ষ রুপি ছিল তার বেস প্রাইস। সেখান থেকে হু হু করে দাম বাড়তে লাগল নটরাজনের। সেটা গিয়ে ঠেকল তিন কোটি রুপিতে। এক লাফে স্বপ্ন হল সত্যি!

কোটিপতি হওয়ার পরও ঘোর কাটছে না নটরাজনের। সত্যি কী নিলামে তার দাম আকাশ ছুঁয়েছে, বিশ্বাসই করতে পারছেন না তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নটরাজন বলেন,‘ আমি এখনও ভাবতে পারছি না। আমার মাকে বলার পর উনি কাঁদতে শুরু করে দিয়েছেন। বন্ধুরাও বলল, আজ ভালো কিছু খাওয়াতে হবে।’

এত দাম পাওয়ায় প্রত্যাশার চাপ ঠিকঠাক সামলাতে পারবেন নটরাজন? কোটি টাকার দাম দিতে পারবেন তিনি? নটরাজন বলছিলেন,‘ এত দাম দেওয়ায় এখন প্রত্যাশাও অনেক থাকবে। সেই চাপটা আমাকে নিতে হবে।’ নটরাজন সবচেয়ে ভালো পারেন ইয়র্কার দিতে। কিন্তু এক সময় তিনি ভেবেছিলেন, বাবার মতই হয়ত তাকে কুলির জীবন বেছে নিতে হবে,‘ ক্রিকেটই আমাকে নতুন করে পথ দেখাল। আমি খুব গরীব ঘরের ছেলে। বাবা কুলি। মায়ের মুরগির মাংসের দোকান। আইপিএল তো দুরের কথা, এক সময় রঞ্জি খেলতে পারব, সেটাই ভাবতে পারিনি।’

ছোটবেলায় বাবা-মা পড়াশোনার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে নটরাজন খেলতে যেতেন টেনিস বলের টুর্নামেন্টে,‘ ছয় বছর বয়স থেকে টেনিস বল দিয়ে খেলতাম। পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে টেনিস বলের টুর্নামেন্টে খেলতে যেতাম।’

নয় নয়টি টুর্র্নামেন্ট পার করেছে আইপিএল। এপ্রিলে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে দশম আসর। একবারও আইপিএলে শিরোপা জিততে পারেনি প্রীতি জিনতার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তামিলনাড়–র নটরাজন কী সেই সৌভাগ্য এনে দিতে পারবে পাঞ্জাবকে? এ প্রশ্নের জবাব সময়ই দেবে!

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই/আরআইবি