না ফেরার দেশে ক্রিকেটার রবিউল

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭, ০৫:৫২ পিএম

ঢাকা: নাম রবিউল আলম। ২০১৫ সালে কুমিল্লা জেলা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। পেসার হান্টেও কুমিল্লা অঞ্চলের সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন আদর্শ পেসার হওয়ার সকল গুণই ছিলো তার মাঝে। পরিবারের সবার ছোট ছেলেটি একদিন দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবে এমন প্রত্যাশা ছিল বাবা-মা'সহ পরিবারের সকলের। কিন্তু সকলের  স্বপ্ন ভেঙে পৃথিবীর মায়্যা ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রতিভাবান এই পেসার।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মৃত্যুবরণ করেন মাত্র ২৪ বছর বয়সের এই পেসার রবিউল। বেশ কিছু দিন ধরেই রক্তে সংক্রমণে ভুগছিলেন। রবিউলকে বাঁচাতে সব চেষ্টাই করেছেন তাঁর বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের কাছে হার মানতে হয়েছে। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেছেন, ‘ফুসফুসের সমস্যাটা সেরে গিয়েছিল। সে মাঝে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছিল। নিয়মিত খেলার মাঠে যেত। হাসপাতালে থাকতে ওজন কমে ৪৮ কেজিতে নেমে এসেছিল। ধীরে ধীরে যখন সুস্থ হয়ে উঠছিল, ওজন ৬৪ কেজি হয়েছিল। নতুন করে রক্তে সংক্রমণ হয়েছিল। ও যে আবার অসুস্থ হয়ে পড়বে বুঝতে পারিনি।’

গত বছরের আগস্টে অনুশীলনের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রবিউল। সাথে সাথে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়। চিতিৎসকের মারফতে জানা যায় রবিউলের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরে ঐ বছর ভারতে নেয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় দেশে। কিন্তু টাকার অভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারেনি রবিউলের পরিবার।

পরবর্তীতে তরুণ এই পেসারকে নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘জীবন-মৃত্যুর মাঝে এক ক্রিকেটার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে অনেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন রবিউল। প্রায় সাত মাস ভর্তি থাকার পর গত জুনে মোহাম্মদপুরের সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কুমিল্লায় বাড়িতে নেওয়া হয় তাঁকে।

গত ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন রবিউল। এরপর তাঁকে ফের ভর্তি করা হয় সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি প্রতিভাবান এই পেসারকে। পরিবারের কাছে এখন এক দীর্ঘশ্বাসের নাম রবিউল। এটাই বিধির বিধান, সেটি মানতে বাধ্য সকল জীব।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই