পাঁচ বছর পর ফের জাতীয় স্কুল ফুটবল

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৫, ২০১৮, ১০:২৮ পিএম
ছবি: বাফুফের সৌজন্যে

ঢাকা: সেই ২০১৩ সালে মাঠে গড়িয়েছিল ‘জাতীয় স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট’। তারপর বর্ষপঞ্জিতে থাকলেও ফুটবলার তৈরির সূতিকাগার এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবশেষে প্রায় পাঁচ বছর পর আবারও শুরু হতে যাচ্ছে স্কুল ফুটবলারদের এই সর্ববৃহৎ প্রতিযোগিতা। সোমবার (৭ মে) দেশের সাতটি ভেন্যুতে শুরু হচ্ছে জাতীয় স্কুল ফুটবল।

গত বছর জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ৫৪ জেলার দল অংশ নিচ্ছে এবারের এই স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে। গাজীপুরের দুটি, সিলেট, সাতক্ষীরা, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও বরিশাল জোনে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নরা খেলবে মূল পর্বে। প্রতিটি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ ফি পাচ্ছে ১০ হাজার টাকা করে। থাকছে উইনিংমানিও।

শনিবার (৫ মে) বাফুফে ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রেসমিটে বাফুফে জানিয়েছিল এই আসরে আপাতত অংশ নেবে ৫৬ স্কুল, পরে দল আরও বাড়তে পারে। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে ঠিক তার উল্টোটিই! এই আসরে সারা দেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মাত্র ৪৭ স্বুল। এ প্রসঙ্গে জাতীয় স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বিজন বড়ুয়া বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল ৬৪ স্কুল নিয়ে টুর্নামেন্ট করা। ডিএফএর মাধ্যমে সে চেষ্টাও করেছিলাম; কিন্তু অন্যদের আন্তরিকতার অভাবে তা হলো না।’

পাঁচ বছর বিরতি দিয়ে আবারও এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন তোড়জোড় শুরু করেছিল বাফুফে। এ জন্য ফিফার কাছ থেকে বাফুফে অনুদান পাচ্ছে ৯০ লাখ টাকা। দেশীয় পৃষ্ঠপোষক থেকে তারা পাচ্ছে আরও ৬০ লাখ টাকা। অথচ সব জেলা থেকে ১টি করে স্কুল অংশ নিলেও তো ৬৪ স্কুলের খেলার কথা, সেখানে ৪৭ স্কুল কেন? তাহলে এত টাকা ব্যয়ে এত কম সংখ্যক স্কুলের অংশগ্রহণের যৌক্তিকতা কোথায়? তাছাড়া বাকি টাকা কি করছে বা করবে বাফুফে? সেটিই এখন বড় প্রশ্ন?

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও প্রফেশনাল ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গুডলাক স্টেশনারীর ব্র্যান্ড ম্যানেজার আহসানুজ্জামান খান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই