এশিয়া কাপে ‘নাগিন’ অপুর খেলা নিয়ে সংশয়

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৮, ০৭:৪৫ পিএম

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তরুণ উদীয়মান স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর হাতে ২৫টি সেলাই দিতে হয়েছে। খবরটি প্রথম দেখেছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাচ কভার করতে যাওয়া এক সাংবাদিকের ফেসবুক ওয়ালে। পরে সেটি নিশ্চিত করেন দলের ম্যানেজার রাবীদ ইমাম ও চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। এই মুহুর্তে বিশ্রামে রয়েছেন ‌‘নাগিন’ তকমা পাওয়া এই টাইগার ক্রিকেটা।

সামনেই এশিয়া কাপ। এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টে অপু খেলতে পারবেন কি না তা নির্ভর করছে তার সুস্থতার উপর। পুরোপুরি সুস্থ হতে কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তরুণ এই স্পিনারকে। এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘আপাতত তিন সপ্তাহ সে খেলার বাইরে থাকবে। তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ইনজুরি সারতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম খুব দরকার। এরপর কিছুদিন পুনর্বাসনে থাকতে হবে। সব মিলিয়ে বলতে পারি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ওর খেলায় ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই।’

তিনি বলেন, ‘নাজমুল ইসলাম অপুর হাতে ক্ষত তৈরি হয়েছে। ব্যাটসম্যানের পায়ের নিচে চাপ পড়ে হাতের উল্টো পিঠে প্রায় চার জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়েছে। যদিও এক্স-রের মাধ্যমে দেখা গেছে তার হাড়ে কোন ইনজুরি হয়নি। শুধু মাত্র সফট টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

বিসিবির এই চিকিৎসক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সেলাই করা হয়েছে। চোট থেকে তাকে রক্ষা করতেই সেলাই দিতে হয়েছে, ‘আপাতত সেলাই করা হয়েছে। ইনজুরিটাকে ম্যানেজ করতেই এই সেলাই। এর মধ্যে তিনটা ক্ষত খুব একটা সমস্যা করবে না। একটা ক্ষত যেহেতু জয়েন্টের উপরে, সেটা সারতে একটু সময় লাগতে পারে। আপাতত দুই থেকে তিন সপ্তাহের বিশ্রাম নিতে হবে। এরপর বোঝা যাবে সুস্থ হতে কতটুকু সময় লাগবে। ’

অপুর হাতে কতটি সেলাই পড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে দেবাশিষ চৌধুরী জানান, ‘ওর চারটা জায়গায় প্রতিটাতেই চার-পাঁচটা করে সেলাই লেগেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৪-২৫টার মতো সেলাই হয়েছে।’

গত সোমবার (৬ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার লডারহিলে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে যখন বাংলাদেশ দল আনন্দে মেতে উঠেছেন, ঠিক সেই সময় হাসপাতালে যেতে হয়েছে অপুকে। ফ্লোরিডায় তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ৫ নম্বর ওভারে বল করতে এসে তিন নম্বর বলে মারলন স্যামুয়েলস এর মুখোমুখি হন তিনি। তাঁর করা বলে হালকা ডিফেন্স করা বল মিড অনের দিকে যেতে চাইলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি। রান নিতে চেষ্টা করতে থাকা ওয়ালটন আবার ক্রিজে ফেরার চেষ্টা করেন।

দুর্ভাগ্যক্রমে অপুর হাতের উপর পা পড়ে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকে চ্যাডউইক ওয়ালটনের। জুতার নিচে থাকা স্টীলের স্পাইকের আঘাত পান অপু। সাথে সাথেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অপুর সেই ওভার শেষ করেন সিমিং অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। তারপর আরও দুই ওভার বল করেন তিনি।

দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ বল করেন অপু। শেষ ওভারে ১৫ রান ডিফেন্ড করতে এসে তুলে নেন দুই উইকেট আর খরচ করেন মাত্র দুই রান। জয় পাওয়া ম্যাচের অন্যতম নায়ক ছিলেন নাজমুল ইসলাম অপু, পেয়েছিলেন ৩ উইকেট। তিনি হয়ত হতে পারতেন শেষ ম্যাচ জয়ের পার্শ্বনায়ক। তবে স্পিন নির্ভর উইকেটে মাত্র ৩ বল করেই মাঠ ছাড়তে হয় অপুকে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে এশিয়া কাপের আসর।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই