সোহেলের ভুলে সর্বনাশ বাংলাদেশের

  • নীলফামারী থেকে আবদুল গফুর | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০১৮, ০৮:৩২ পিএম
ছবি: আবদুল গফুর

নীলফামারী : যে দলের গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল তাদের আর গোল হজমের উপলক্ষ লাগে না। যে কোনো সময় যে কোনো বলই চলে যেতে পারে জালে। অতীতে বহুবার বাংলাদেশ দলকে ডুবিয়েছেন এই গোলরক্ষক। এরপরও কোন বিবেচনায় তিনি বাংলাদশে দলে সুযোগ পান? শুধুইু কি তার দীর্ঘ দেহটাই সম্বল? প্রত্যেক বিদেশী কোচ এলেই প্রথম বিবেচনায় আসে এই কিপারের নাম।

পরবর্তীতে সর্বনাশ করার পর হুশ হয়। বুধবার (২৯ আগস্ট) নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অতীতকে যেভাবে পনরায় টেনে আনলেন তাতে নিশ্চিত তার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে কোচ জেমি ডেকে। তার ভুলের খেসারতের ফলেই এই প্রথম বাংলাদেশের মাটিতে লাল সবুজদের বিপক্ষে জয় পেল লঙ্কানরা। ১-০ তে ম্যাচ জিতে সাফের আগে চনমনে ভাব তাদের। অন্য দিকে এশিয়াডের পর হাওয়ায় ভাসা জেমি ডের শিষ্যরা এখন মাটিতে পড়ে গেল। যার বাজে প্রভাব পড়তে পারে সাফে।

দুই বছর পর নিজ মাঠে বাংলাদেশ দলের প্রথম আর্ন্তজাতিক ম্যাচ। ম্যাচ জয়ে শুরু থেকে আক্রমন শানাতে তাকে বাংলাদেশ দল। দুই উইং দিয়ে আক্রমন। কিন্তু কোনোভাবেই তা নিঁখুত হচ্ছিল না। নিশানা হীন এই ক্রস এবং থ্রু পাস সত্ত্বেও ম্যাচে দাপট ছিল রাল সবুজদেরই। অথচ তখনই মারাত্মক ভুলটা করেন গোলরক্ষক সোহেল। ঘটনা  ম্যাচের ১২ মিনিটের সময়। মাঝ মাঠে ভুল পাস দেন স্বাগতিকদের এক ফুটবলার। সেই বল দখলে নেন শ্রীলঙ্কার ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ফজল। এরপর প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে তার নিরীহ গোছের শট। সেই শটেই বরাবারের মতো ফ্লাইট মিস সোহেলের। বল তার হাতের ছোঁয়া নিয়ে চলে যায় জালে।

অ্যাওয়ে মাঠে এমন গোলের পর যা করা দরকার তাই করে পাকির আলীর দল। এমনিতেই তারা খেলছিল কাউন্টার অ্যাটাকে। লিড নেয়ার পর আরো বেশী মনো নিবেশ রক্ষন কাজে। মামুনুলের নেতৃত্বে মাঠে নামা জেমি ডে বাহিনী কোনো ভাবেই ভাঙ্গতে পারছিল না লঙ্কান ডিফেন্স লাইন। এরপরও দু’একটি যে সুযোগ হয়েছিল তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ জীবন-রনিরা।

বিরতির পর কোচ মাঠে নামান জাফর, জামাল, জুয়েল রানা, মতিন মিয়াদের। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গোলের কোনো চান্সই তৈরী করতে পারেনি তারা। তাদের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের কারনে খেলার ১৫/২০ মিনিট বাকী থাকতেই গ্যালারী ত্যাগ করতে থাকে বিপুল উৎসাহ নিয়ে মাঠে আসা ফুটবল প্রেমীরা।

বাংলাদেশ দল না পেরেছে বিপক্ষ ডিফেন্স লাইন ভাঙ্গতে। না পেরেছে দূর থেকে যতসই কোনো ভালো শট নিতে। এই দল সাফে কেমন করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। যদিও এশিয়াডে খেলা ১০ ফুটবলার কাল একাদশে ছিলেন না। পরে কোচ বাধ্য হন তাদের কয়েকজনকে নামাতে। এই হারের ফলে প্রায় ১৮ মাস জয় শূন্য বাংলাদেশ। আর শ্রীলঙ্কা জয় পেল ১০ বছর পর।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই