মাঠেই দুষ্টামিতে মাতলেন আশরাফুল-মাশরাফি

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০১৯, ০৭:৫৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোহাম্মদ আশরাফুল একে অপরের বন্ধু। তাদের জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৬ষ্ঠ আসরের প্রথম ম্যাচটি ছিল স্মরনীয়। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর ১১ মাস পর ফিরেছেন আশরাফুল। আর সংসদ সদস্য হিসাবে প্রথম মাঠে নেমেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস।  

শনিবার (৫ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসাবে মাঠে নেমেছিলেন মাশরাফি ও আশরাফুল। প্রতিপক্ষ হলেও এদিন মাঠেই দুষ্টামিতে মেতে উঠে দুই বন্ধু।

রংপুর রাইডার্সের দেয়া ৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে করছিলেন চিটাগং ভাইকিংসের আশরাফুল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিং করছিলেন মাশরাফি। সেই বল মোকাবেলা করতে করবেন আশরাফুল। প্রথম বলটা থার্ডম্যানে ঠেলে দেন তিনি। ফিল্ডার দৌড়ে আসায় তড়িঘড়ি রান নিতে দিলেন দৌড়। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে মাশরাফি তখন বলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।

ফলে রান নিতে গিয়ে আশরাফুলের সামনে পড়ে যান মাশরাফি। তখন মজা করেই হাল্কা ধাক্কা মারেন রংপুর অধিনায়ককে। মুহূর্তের আকস্মিকতা কাটিয়ে পাল্টা জবাব দিলেন তিনিও। দুষ্টামিতে যে তিনিও কম যান না। বোলিং প্রান্তে হেঁটে যাওয়ার সময় ডান পা বাঁকিয়ে লাথি দেওয়ার চেষ্টা করলেন আশরাফুলকে। আশরাফুল তাই দেখে বাঁকা হয়ে গা বাঁচালেন। মাঠের মাঝে দুই বন্ধু ক্ষণিকের দুষ্টামিতে দারুণ মজা পেলেন সমর্থকরা।

আশরাফুল অবশ্য এদিন খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পাঁচ বছর পর ফিরে পাঁচ বল খেলেছেন তিনি। তাতে মাত্র ৩ রান করেই বিদায় নিয়েছেন। বন্ধু মাশরাফি ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। ২৪ রানের খরচায় পেয়েছেন ২টি উইকেট। তবে দিন শেষে হাসিটা চওড়া হয়েছে আশরাফুলেরই। কারণ লো স্কোরিং ম্যাচের রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে যে আশরাফুলের দল চিটাগং ভাইকিংসই।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ দুই তারকার অভিষেক কাছাকাছি সময়ে। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে অভিষেক হয় আশরাফুলের। তার দুই মাস পর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে যাত্রা করেন মাশরাফি। আশরাফুলের মতো অভিষেকে রেকর্ড না করলেও দুর্দান্ত বোলিং করা উপাধি পান ম্যাজিক বোলার নামে। তখন থেকেই দারুণ বন্ধুত্ব এ দুই তারকার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই