ঢাকা: বাবা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুর পর গাজীপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার সুযোগ্য পুত্র জাহিদ আহসান রাসেল। এরপর টানা দশ বছর যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন গাজীপুরের এই তরুণ সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো এমপি হয়েছেন। এবার যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন রাসেল।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে শপথ নিয়ে মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে এসেই ক্রীড়াঙ্গনকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন নয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কোনো দুর্নীতি নয়। অনিয়ম দুর্নীতি তিনি করবেন না, কাউকে করতেও দেবেন না।’
নতুন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আমি নিজে অনিয়ম-দুর্নীতি করবো না, কাউকে করতেও দেবো না। ক্রীড়াঙ্গন হবে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত।’
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘এই পরিষদ নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। যে অভিযোগ শুনেছি তা শূন্যের কোটায় আনতে চাই।’ বাবার সততার প্রসঙ্গ টেনে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। ১০ বছর ছিলাম যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। আমার বিরুদ্ধে একটি লাইনও কেউ লিখতে পারেনি। আমি সেভাবে চলার চেষ্টাই করবো। বাবার সততা ও নিষ্ঠা ধারণ করে মন্ত্রণালয়ের কাজ করবো।’
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই