এতদিনে তাহলে মাথা খুলল ফরহাদ রেজার!

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০১৯, ১১:১৮ এএম

ঢাকা: দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রাইম ব্যাংককে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে প্রাইম দোলেশ্বর। আর দলকে ফাইনালে তুলতে বড় অবদান দোলেশ্বরের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজার। তাই তো ম্যাচ শেষ হতেই এই অলরাউন্ডারকে ঘাড়ে তুলে নিলেন সতীর্থরা।
 
আর নেবেই না বা কেন, প্রথমে দুরন্ত বোলিং করেছেন ফরহাদ রেজা। পরে ব্যাট হাতে অসাধারণ ফিনিশ করেছেন। ৮ বলে খেলেছেন অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংস। অবশ্য ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক এদিন তিনি পেতে পারতেন। ১৯ তম ওভারের শেষ তিনটি ডেলিভেরিতে ফরহাদ তিনটি উইকেট পেয়েছেন। মাঝে একটি বল ওয়াইড করায় সেটি হ্যাটট্রিক হচ্ছে না।

তবে হ্যাটট্রিক নিয়ে ফরহাদ রেজার আফসোস নেই। একটা আফসোস অবশ্য রয়েছে তাঁর। কী সেই আফসোস? গত জাতীয় লিগে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রাজশাহীর দেলোয়ার হোসেন।

রাজশাহীর এই সতীর্থ নাকি প্রায়ই তাঁর সঙ্গে রসিকতা করে বলেন, পারলে হ্যাটট্রিক করে দেখান। হ্যাটট্রিকের সেই সুযোগ এসেছিল ফরহাদ রেজার সামনে। কিন্তু পেয়েও সেটি হলো না। ফরহাদ রেজা বলছেন,‘ এটা নিয়ে কোনো আফসোস নেই। তবে হলে খুব ভালো হতো। আমাদের রাজশাহী দলের পেসার দেলোয়ার গত জাতীয় লিগে হ্যাটট্রিক করেছিল। সে আমার খুব ভালো বন্ধুও। ও আমাকে প্রায়ই বলে, আমার মতো কি আর হ্যাটট্রিক করতে পারবেন! সে খুবই ভালো বোলার। তবে আজ যতটুকু হয়েছে খুবই খুশি।’

৪ ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই ফরহাদ রজার সেরা বোলিং। গত বিপিএল থেকেই ধারবাহিক ভালো বোলিং করে চলেছেন। এবার রংপুর রাইডার্সের হয়েও দুর্দান্ত বল করেছেন।

ফরহাদ রেজা এই কৃতিত্ব দিচ্ছেন রংপুর রাইডার্স ও জাতীয় দলের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাসকে, ‘আমাদের কম্পিউটার বিশ্লেষক অনেক সহায়তা করেছে। ওর পরামর্শের ভিত্তিতে কিছু কাজ করেছি। সুজন ভাই (খালেদ মাহমুদ), বাবুল স্যারের (দোলেশ্বর কোচ মিজানুর রহমান) সঙ্গে কাজ করেছি। এ কদিনে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে মাথায়। মানসিকভাবে অনেক এগিয়েছি।’


সোনালীনিউজ/আরআইবি/আকন