‘ভূতের’ ধর্ষণে স্কুলছাত্রী গর্ভবতী! রহস্য ফাঁস

  • বিচিত্র সংবাদ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭, ০৮:৩৭ পিএম

ঢাকা: ভূতের ধর্ষণে স্কুলছাত্রীর গর্ভবতী হওয়া ও শেষ অবধি সন্তান প্রসব করার ঘটনার রহস্য ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছিল। পুলিশও হিমশিম খাচ্ছিল তদন্তে গিয়ে। তবে শেষ অবধি রহস্য ফাঁস করেছে কিশোরী নিজেই!

তাহলে সত্যিই কি ধর্ষিতা হয়েছিল ওই স্কুলছাত্রী? তাহলে কোনো ভূত প্রতি রাতে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক মিলন ঘটাতো না?

ঘটনাটা গত ৩১ জানুয়ারির। ভারতের মধ্যপ্রদেশের সতনা জেলার বাসিন্দা ক্লাস টেনের এক ছাত্রী দেবেন্দ্রনগর এলাকার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে। ওই সময় তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার সন্তানের বাবা কেন? তখন সে জানায়, এক ভূত তাকে ধর্ষণ করেছে। এর ফলে সে গর্ভবতী হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়। (পড়ুন: ভূতের ধর্ষণে সন্তান জন্ম দিলেন দশম শ্রেণির ছাত্রী!)

বলাই বাহুল্য, কিশোরীর এই জবানি শুনে বিশ্বাস করতে পারছিল না কেউই। তাই পুলিশ আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করতে থাকে। এক পর্যায়ে কিশোরীর কাউন্সেলিং করা শুরু করে। সতনার মহিলা থানার কর্মচারী রিনা সিংহ সদ্য মা হওয়া কিশোরীকে টানা জেরা এবং কাউন্সেলিং করতে থাকেন। এর ফলেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। প্রকৃতপক্ষে মেয়েটির সন্তানের বাবা আর কেউ নন, তারই শিক্ষক।

পুলিশের কাছে মেয়েটি সবকিছু খুলে বলে। সে জানায়, ভাগীরথ আহিরবার (৩৬) নামে ওই শিক্ষক ১৬ বছর ধরে সতনারই একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। ছাত্রীর বাড়ির কাছেই ভাড়া থাকতেন ওই শিক্ষক। একে তো প্রতিবেশী তার ওপর নিজের স্কুলের শিক্ষক, তাই এক সময় দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সেটা অসম প্রেমে গড়ায়। আর তা থেকেই মেয়েটি হয়ে পড়ে গর্ভবতী।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বয়স্ক ওই শিক্ষক স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন। এ সুযোগেই কিশোরী ছাত্রীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তবে কিশোরী জানিয়েছে, শিক্ষক ভাগীরথ তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাই ‘মহান’ শিক্ষককে বাঁচানোর জন্যই ভূতে ধর্ষণ করার গল্প ফেঁদে বসে। যেন মানুষ বিভ্রান্ত হয়।

তবে কিশোরী তার সন্তানের বাবাকে আড়াল করতে পারেনি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক মিলনের অভিযোগে ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।

সোনালীনিউজডটকম