২১ দিন হলো জামিন পাচ্ছে না ২৮ ছাগল

  • বিচিত্র-সংবাদ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৭, ২০১৭, ০৯:৪১ এএম

ঢাকা: ভারতে গরুকে দেয়া হয়েছে মানুষের মর্যদা, যার ফলে অনেক রাজ্যেই মাংস ব্যবসা উঠে যাচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হাজার হাজার মাংসের দোকান। এবার তারই বলি হতে হচ্ছে ২৮ ছাগলকে। ঝাড়খণ্ডের দুই ব্যবসায়ী এনেছিলো তাদের জবাই করে বিক্রি করতে। কিন্তু,ব্যবসায়ীসহ তাদের কে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। 

ব্যবসায়ীরা জামিন পেয়ে গেছে, কিন্তু তারা এখনও পুলিশের হেফাজতে। তাদের খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক পুলিশ সদস্যকে। কিন্তু কাজের চাপে এখন এক স্থানীয় ব্যবসায়ীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের দেখাশোনার।

ওই ব্যবসায়ী ভেবেছিলেন দিন কয়েকের ব্যাপার, কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে তাদের দায়িত্ব নিয়ে তিনি এখন ফেঁসে গেছেন! কবে যে তারা জামিন পাবে কেউ জানে না!

২৬ এপ্রিল রাঁচির মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে একটি অভিযান চলার সময়ে কঠহল মোড়ের মাংসের দোকানের দুই মালিকসহ ২৮টি ছাগল আটক হয়। দোকান মালিক বাবলু মন্সুরি আর সাবির খান তো জামিন পেয়ে গেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে আটক হওয়া ছাগলগুলি এখনও হেফাজতে।

নগরীর পুলিশ কর্মকর্তা এ কে সিং জানিয়েছেন, ‘পশু সহিংসতা নিয়মসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়েছে। আদালতের আদেশ ছাড়া ছাগলগুলিকে ছাড়তে পারি না আমরা। আদালত ওই ছাগলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিল। সেটা কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। তাড়াতাড়িই এগুলিকে ছেড়ে দেয়া হবে বলেই মনে হচ্ছে।’

ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী দীপক ভারতী বলছিলেন, ছাগলগুলিকে ঠিক গ্রেপ্তার করা হয় নি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলা যায়। যেহেতু এগুলি জীবিত প্রাণী, তাই রিলিজ অফ লাইফ স্টকের আদেশ দিতে হবে আদালতকে। পশুদের দেখাশোনা করে থাকে এরকম কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে তুলে দিতে পারে আদালত, কারণ যেহেতু মাংসের দোকান থেকে পাওয়া গিয়েছিল ছাগলগুলিকে, এটাই সম্ভবত আদালত ধরে নেবে যে সেগুলিকে মেরে ফেলার জন্যই রাখা হয়েছিল।

তবে ওই দুই ব্যবসায়ী বলছেন, পুলিশ তাদের জানিয়েছিলো ছাগলগুলির জামিন করাতে হবে আদালত থেকে। তাই ছাগলগুলির জামিন করানোর জন্য কোর্ট আর উকিলের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছেন তারা। সূত্র: বিবিসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই