৪০ তরুণের মৃতদেহ ধর্ষণ করেন এই তরুণী!

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০১৭, ০৩:১৫ পিএম

ঢাকা: ‘মানুষের দু:সাহসের সীমা নেই!’ কথাটি কিন্তু কথার কথা নয়! অসম্ভবকে সত্যি সম্ভব করতে জুড়ি নেই মানুষের। এজন্যে কঠোর অধ্যবসায় যেমন প্রয়োজন হয়, সেই সঙ্গে থাকতে হয় প্রচণ্ড সাহস।

আর সেই সাহস যদি দুঃসাহসে পরিণত হয় তবে ঘটে যায় ভয়ানক ঘটনা। এমন ভয়ানক আর দুঃসাহসির ঘটনা আমাদের চারপশে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। খুঁজলে এরকম নরপিশাচ অনেক পাওয়া যেতে পারে।

ঘটনাটি বহু পুরোনো, ক্যারেন গ্রিনলে ক্যালিফর্নিয়ার একজন মর্গ-কর্মী। কাজ করতেন এমবামার হিসেবে। ১৯৭৯ সালে ধরা পড়েন ২২ বছর বয়সী ক্যারেন। তখন প্রমাণ হয়‚ তিনি ৩৩ বছর বয়সী এক যুবকের দেহ নিয়ে পালিয়ে যান। মর্গ থেকে শেষকৃত্যে নিয়ে যাওয়ার বদলে ক্যারেনের গন্তব্য হয়ে যায় পাশের গ্রাম। সেখানে বেশ ক’দিন তিনি সঙ্গম করেন ওই মৃতদেহের সঙ্গে।

পুলিশ তাকে জেরা করে জানতে পারে ততদিনে অন্তত ৪০টি মৃতদেহে সঙ্গে সঙ্গম হয়ে গেছে তার! সবকটি ক্ষেত্রেই মৃতদেহগুলো ছিল তরুণদের। ক্যারেন অপেক্ষায় থাকতেন কবে মর্গে আসবে তরুণ সুপুরুষ কারো দেহ। এলেই কামতাড়িত হয়ে পড়তেন ক্যারেন।

কিন্তু কেন? জানতেন না ক্যারেন নিজেই। চার পাতার এক স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেছেন‚ মৃতদেহে সঙ্গে সঙ্গম তার কাছে নেশার মতো। তিনি থাকতে পারেন না ওটি ছাড়া। মৃতদেহের গন্ধ তার খুব ইরোটিক বলে মনে হয়। নিজেকে তিনি বলতেন মর্গের ইঁদুর। আর নিথর দেহগুলো সেই ইঁদুরের গর্ত।

ক্যারেন যে সময় ধরা পড়েন তখন ক্যালিফর্নিয়ায় শবকাম দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল না। ফলে শুধু মৃতদেহ চুরির দায়ে আর্থিক জরিমানা এবং ক’দিনের কারাদণ্ড হয় ক্যারেনের।

জেল থেকে বেরিয়ে ক্যারেন তখন কর্মহীন। তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়ে বই লেখেন জিম মর্টন। বইটির নাম দেন Apocalypse Culture। তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় কয়েকটি সিনেমাও। কিন্তু হারিয়ে যান ক্যারেন। শোনা যায়‚ নাম পাল্টে তিনি চলে যান ক্যালিফর্নিয়া শহর ছেড়ে আমেরিকার অন্য কোথাও, লোকচক্ষুর অন্তরালে। নিজের অতীত নিয়ে তিনি অনুতপ্ত ছিলেন।

কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারেননি কেন ওই প্রবণতা থেকে বের হতে পারেননি। এমনকী‚ ভবিষ্যতে ওই বিকৃতির হাত থেকে মুক্তি পাবেন কি না‚ তা নিয়েও নিশ্চিত হতে পারেননি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন