কারাগারে চলছে সুন্দরী প্রতিযোগীতা (ভিডিও)

  • বিচিত্র-সংবাদ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০১৭, ০১:২৩ পিএম

ঢাকা: ‘কারাগার যেন এমনই হয়।’ কয়েদিদের মুখে এমনটা প্রায়ই শোনা যায়! কী ভাবছেন- মিথ্যা বলছি? না অপরাধীদের কারাগারে নেয়া সংশোধণের জন্য। তাই সেখানে তো অবশ্যই বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগীতা থাকতে হবে। সেজন্য ব্রাজিলের রিও ডি জানেরো’র কারাগারেও সুন্দরী প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।

একটি ফ্যান, চুল শুকানোর যন্ত্র এবং চুল স্টাইল করার যন্ত্র – এগুলো বন্দি নারীদের মধ্যে সুন্দরী প্রতিযোগিতার পুরস্কার। পুরস্কার ছোট কী বড় সেটা কোনো বন্দিই দেখে না। তাদের কাছে এই প্রতিযোগিতা আরো বড় কিছু।

প্রতিবছরের মত সম্প্রতি রিও ডি জানেরোর তালাভের ব্রুস কারাগারে ক্যাটওয়াকের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত এই কারাগারে স্বেচ্ছাসেবীরা কেবল এই আয়োজন উপলক্ষ্যে ভেতরে ঢোকার সুযোগ পান এবং বন্দিদের সাজানোর দায়িত্ব নেন।

৪৪০ জন বন্দির মধ্যে মাত্র ১০ জন চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেন। প্রতিযোগীরা কতটা আকর্ষণীয় সেটার পাশাপাশি তাদের আচার-আচরণ দেখেও বিচার করা হয়।

তালাভেরা ব্রুসের বেশিরভাগ নারী মাদক সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। ব্রাজিলের আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এই কারাগারে নারীর সংখ্যা ৬০০ ভাগ বেড়েছে। প্রতি বছর এই কারাগারে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতা হয়, প্রাত্যহিক রুটিনে কিছুটা পরিবর্তন আনতেই এই আয়োজন।

সান্ধ্যকালীন গাউন এবং সমুদ্র সৈকতে ফ্যাশন – এই দুই ক্যাটাগরিতে বিচারকরা খুব ভালোভাবে প্রতিযোগীদের নীরিক্ষণ করেন। চেহারা, ভঙ্গি এবং পছন্দের ভিত্তিতে তাদের বিচার করা হয়। প্রথম স্থান অধিকারকারী পান একটি ফ্যান, দ্বিতীয় জন একটি চুল শুকানোর যন্ত্র এবং তৃতীয় জন স্টাইলিং আয়রন।

রেডকার্পেটে অন্য বন্দিদের সামনে ব্যক্তিত্বে সঙ্গে ক্যাটওয়াক করলে ঐ নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে বলে মনে করেন কারাগারের পরিচালকরা। তারা বলেন, কারাগার থেকে যখন তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যান, তখন এটা তার জীবনে প্রভাব ফেলে।

এ বছর সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন মায়ানা আলভেজ। গত বছরের বিজয়ী মিশেলে রাঙ্গেল বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়টায় আমি যে কারাগারে বন্দি এটা মনেই হয়নি। মনে হয়েছিল আমার আত্মা মুক্তি পেয়েছে।’

বিজয়ী মায়ানার শরীরে এমন কিছু উল্কি আঁকা রয়েছে, যা আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে। মায়ানা বলেন, ‘আমি অবশ্যই মুক্ত হতে চাই। আমি যখন এখান থেকে বের হবো তখনই এই পুরস্কার গ্রহণ করবো।’ তিনি বলেন, তার জন্য সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত হলো এই আয়োজন উপলক্ষ্যে তার মাকে এখানে আসার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

প্রথম পুরস্কার হয়ত বিজয়ীকে বিশেষ সম্মান বা সুযোগ সুবিধা এনে দেয়। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর প্রত্যেকেই কিন্তু লাভবান হয়েছেন। কেননা এই আয়োজন উপলক্ষ্যে প্রত্যেকেই স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। সূত্র: ইউরো নিউজ ও ডিডাব্লিউ

ভিডিও:

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই