অবশেষে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের উন্মোচন (ভিডিও)

  • বিচিত্র সংবাদ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০১৮, ০৪:৪০ পিএম

ঢাকা : বারমুডা এমন একটি রহস্য যা নিয়ে ভাবতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে সাধারণ মানুষ থেকে চিন্তাশীল ব্যক্তিদের। কিন্তু সমাধান সূত্রে পৌঁছতে পারেননি কে‌উই। অবশেষে সেই রহস্যেরই জট খুলল বলে মনে করছেন অনেকে।

জানা গেছে, ৭৫টি বিমান ও প্রায় ১০০টির কাছাকাছি জাহাজ বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে প্রবেশের পরই উধাও হয়ে গেছে। এই রহস্যের মৃত্যুপুরী ‘ডেভিলস ট্রায়াঙ্গল’ নামে বেশি পরিচিত। এই রহস্য জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের। পাশাপাশি আশঙ্কা, ভয় ও চক্রান্তের।

এটি আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর ৫ লাখ কি. মি. বর্গক্ষেত্রের একটি এলাকা যা ফ্লোরিডা, পিওরটো রিকো এবং বারমুডার মধ্যে অবস্থিত। জানা যায়, এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ১০০ বছরে ১০০০ জনমানুষের জীবন নিয়েছে।

বর্তমানে ‘চ্যানেল-৫’ তাদের ‘দ্য বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এনিগমা’ তথ্যচিত্রে দাবি করেছে সম্ভবত এই রহস্যজনকভাবে বিমান বা জাহাজ উধাও হয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে ১০০ ফুট উচ্চতার ‘রাফ ওয়েভ’ বা ‘ভয়ঙ্কর ঢেউ।’ কিন্তু কি এই ‘রাফ ওয়েভ’?

বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা যায় ‘অত্যন্ত ঝোড়ো ঢেউ।’ এই ঢেউগুলি ১০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে। ১৯৯৭ সালে প্রথম একটি স্যাটেলাইটের সাহায্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সমুদ্র উপকূলে এই ভয়ঙ্কর ঢেউ লক্ষ্য করা যায়। এই ঢেউগুলি সম্পর্কে আগে থেকে কোনো আভাস পাওয়া যায় না।

চ্যানেল ৫-এর তথ্যচিত্রে বিজ্ঞানীরা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে একটি ভয়ঙ্কর ঢেউ তৈরি করেন।

সাদাম্পটনের বিজ্ঞানীরা ‘ইউএসএস সাইক্লোপস ‘নামে একটি জাহাজ তৈরি করেন যা ১৯১৮ সালে ৩০০ জনকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। জাহাজটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জ্বালানি সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

১৯১৮ সালে বাহিয়া থেকে বাল্টিমোর যাওয়ার সময় এটি উধাও হয়ে যায়। উল্লেখ্য, এই জাহাজটির ভগ্নাবশেষ বা ৩০৬ জনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

সমুদ্র বিজ্ঞানী সাইমন বক্সবল বলেন, আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর তিনটি ভিন্ন জায়গা থেকে তিনটি ভয়ঙ্কর ঝড় আশার ফলে ওইসময় ভয়ঙ্কর ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এই রকম ঢেউ জাহাজটিকে টুকরো টুকরো করেও দিয়ে থাকতে পারে।

বিজ্ঞানী ড. ক্রসজেলনেইকি বলেন, এমন নয় যে শুধু বারমুডা ট্রায়াঙ্গলেই এইরকম ঘটনা ঘটেছে। পৃথিবীর বহু জায়গাতেই এইরকম ঘটনার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে উত্তর মিললেও বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যের সমাধান হয়নি।

দ্য ন্যাশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাট- মওস্ফোরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিজ্ঞানী ড. ক্রসজেলনেইকির সঙ্গে একমত হয়ে জানিয়েছেন, যে এই ট্রায়াঙ্গলের সঙ্গে অন্যান্য জায়গার কোনো তফাৎ নেই। একই ধরনের বাতাস ও সমুদ্রের অবস্থান রয়েছে সেখানে।

দেখুন ভিডিও

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর