বসের সঙ্গে যৌনতার পর ঘুমালেন নারী পুলিশ, গাড়িতে মরলো শিশু

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০১৯, ০৫:২৭ পিএম

ঢাকা : তিন বছরের শিশু কন্যাকে গাড়িতে রেখে বসের বাড়িতে গিয়েছিলেন এক নারী পুলিশ। সেখানে গিয়ে বসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এরপরেই ক্লান্ত অবস্থায় তিন-থেকে চার ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন ওই  নারী পুলিশ। তবে তার এমন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য শিশুটির প্রাণ যাবে তা হয়তো কল্পনায়ও ভাবেননি। তিন ঘণ্টা ধরে গাড়ির মধ্যে সিটবেল্ট দিয়ে বাধা শিশুটি অতিরিক্ত গরমে মারা যায়।

ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপির গাল্ফকোস্ট শহরে।

দ্য সান হেরাল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, মিসিসিপির ক্যাসি বারকার নামে সাবেক ওই পুলিশ অফিসার আদালতকে জানান, তিনি তার সুপারভাইজারের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত ছিলেন। যখন তার তিন বছর বয়সী শিশু কন্যা কারের সিটেবেল্টে বাধা অবস্থায় অতিরিক্ত গরমে কাতারাচ্ছিল।

পুলিশ সুপারভাইজার ওই নারী পুলিশকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠান প্রতিদিনের কাজের ব্যাপারে আলোচনা করতে। ক্যাসি তার চেইননি হেয়ার নামে তিন বছরের শিশুকে গাড়ির সিটের সঙ্গে বেঁধে তার বাড়িতে যান। তখন এসি চালু রাখার জন্য গাড়িটি চালু ছিল। বাড়িতে গিয়ে বসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ক্যাসি। এর পর ক্লান্ত অবস্থায় তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন।

পরে সকাল ৯ টায় পুলিশ সুপারভাইজার ক্লার্ক ল্যান্ডার (৩৬) বাড়ি থেকে বের হন ক্যাসি। তখন গাড়ির কাছে গিয়ে ক্যাসি দেখতে পান শিশুটি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তবে শিশুটি ততক্ষণে মারা যায়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, যখন শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় তখন তার গায়ের তাপমাত্রা ছিল ১০৭ ডিগ্রি। আর গাড়ির তাপমাত্রা ছিল ১০২। কারণ এসি দিয়ে তখন গরম বাতাস বের হচ্ছিল।

এদিকে শিশু হত্যায় গতকাল সোমবার আদালতে দোষী সাব্যবস্ত হলে ক্যাসি বাকার নামে ওই নারী পুলিশ কান্নায় ভেঙে পড়েন। ২৯ বছর বয়সী ওই নারীকে ২০ বছরের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন প্রসিউটর। এর আগেও তাকে হত্যার ঘটনায় দণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে বারকার ও ল্যান্ডর উভয়কে বিভাগীয় নীতি লঙ্ঘনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগেও ২০১৫ সালে যখন চেইননি বয়স ২ বছর ছিল তখন বারকার তাকে গাড়িতে রেখে একটি শপিং মলে যায়। সে সময় পথচারীরা শিশুটিতে একা দেখে পুলিশে খবর দেয়।  এ ঘটনায় ক্যাসিকে এক সপ্তাহের জন্য কাজ থেকে বিরত রাখা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই