ঢাকা: এই প্রেম, যেটা ভালবাসার সাথে সম্পর্কিত একটি গুরুত্যপূর্ণ অংশ। যেটা প্রতিটি মানুষের কাছে মনের উত্তেজনাপূর্ণ আর রহস্যময় আনুভুতি আনে। আবার কিছু ব্যক্তির যৌন আনুভুতির সঙ্গে আবেগিয় বাহিপ্রকাশমূলক আনন্দময় অনুভুতিও আনে। একটা আকর্ষণের সঙ্গে একটা আবেগ অনুভূতি যুক্ত। যেমনটা টর্চের বেটারির সঙ্গে বাল্পের সম্পর্কের মতো। যেটা মিল না হলে কখোনই আলো জ্বলে উঠবে না।
আনেক গবেষণায় দেখা গেছে- একটি প্রবল আকর্ষণ ও যৌন আবেদনময় দিক থেকে আকর্ষণকে আদর্শময় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তাইতো এখনকার সমাজের প্রেম মানে কোন মনের মিলন নয়, এটা শুধুই যৌন আকর্ষণের দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই আজ আমরা আপনাদের সামনে একটা সত্যি ঘটনা নিয়ে এসেছি।
ঘটনাটি বাংলাদেশের একটা গ্রামের স্কুলে ঘটেছে। নবম শ্রেণির একটা ছাত্রী তার নিজের স্কুলের দুটি ছেলের সাঙ্গে প্রেম করতে শুরু করে। তার সঙ্গে মেয়েটি যখন ফেসবুকে এলো আরও পাঁচটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরলো। যারা পাশের স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়তো। তারাই মেয়েটির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। প্রথম দিকে কেউ এই বিষয়ে বুজতে পারেনি। কিছুদিন মেয়েটি সবার সঙ্গে প্রেমের বাহানা বানিয়ে খুব আনুন্দ করে। তাদের কাছ থেকে কিছু পরিমান টাকাও নেয়। এমনটা কয়েক দিন চলতে চলতে হঠাৎ একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
গত কিছু দিন আগেই ঘৎনাটি ঘটে। ফেসবুকের একটি ছেলে যখন তার ফেসবুক প্রোফাইলে ওই মেয়েটির ছবি পোস্ট করে তখন সব ছেলে তা জানতে পারে। তারপর তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে পরিকল্পনা করে যে মেয়েটিকে কিভাবে শাস্তি দেওয়া যায়।
সবকটা ছেলে একসঙ্গে ফেসবুকে মেয়েটিকে লাইভ ভিডিওতে এনে খুব করে বলার পর ওখানেই শেষ করল না। তারা একসঙ্গে গিয়ে মেয়েটাকে ঘিরে খুব মারধর করে আর তাকে বলে যে তাদের সঙ্গে যা করেছে এমনটা যেন আর কাউকে না করে।
বাকি দুটো ছেলে তার স্কুলে তাকে খুব অপমান করে, সেই থেকে মেয়েটির মা-বাবা তাকে ওই স্কুল থেকে সরিয়ে আলাদা স্কুলে ভর্তি করে দেয়। সেই কারণে সকলকে জানাই যে প্রেম হল একটা প্রবিত্র বন্ধন, তাই এটা নিয়ে কোন ছেলেখেলা কারা ঠিক নয়।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন