অদম্য মেধাবী তামান্নার গল্প

  • যশোর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২, ০১:০০ এএম

যশোর : অদম্য মেধাবী তামান্না আক্তার নূরার লেখাপড়ার খরচ বহনের ঘোষণা দিয়েছেন যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যাণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও রিপন অটোসর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ উদ্দিন টিপু।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক কল্যাণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এজাজ উদ্দিন টিপু এ ঘোষণা দেন। এসময় তিনি তামান্নাকে এককালীন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেন। দুহাত ও এক পাবিহীন অদম্য শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার নূরা কৃতী শিক্ষার্থীর সম্মামনা গ্রহণের আমন্ত্রণ পেয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছিলেন দৈনিক কল্যাণ চত্বরে। অনুষ্ঠানের যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দৌলা তামান্নার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।

অনুভূতি প্রকাশকালে তামান্না আক্তার নূরা বলেন, বহু বাধা কষ্ট পেরিয়ে এসেছি। দুই হাত ও এক পা না থাকা সত্ত্বেও অদম্য সাহস বুকে ধারণ করেছিলাম। পায়ে লিখে সাফল্য অর্জন করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহল অভিনন্দন জানাচ্ছেন, কৃতী শিক্ষার্থীর সম্মাননা দিচ্ছেন। এ যে কী এক আনন্দের অনুভূতি, তা মুখে বলে শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমার মতো অনেক প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তাদের মেধা বিকাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান এই কৃতী শিক্ষার্থী।

তামান্না বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। এইচএসসি পরীক্ষায় তার জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর সংবাদপত্রের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে।

এরআগে ২০১৯ সালে ঝিকরগাছার বাঁকড়া জোনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন। পান জিপিএ-৫। পিইসি ও জেএসসির ফলাফলেও সর্বোচ্চ সাফল্য পান তামান্না আক্তার নূরা।

যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় তামান্না। জন্মগতভাবেই তার দুটি হাত ও একটি পা নেই। পায়ে লিখে তামান্না পা দিতে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।

বাবা রওশন আলী উপজেলার ছোট দাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। মা খাদিজা গৃহিণী। তামান্নার ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। সবার ছোট ভাই মুহিবুল্লা তাজ প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

সোনালীনিউজ/এমটিআই