পর্দার আড়ালে থেকে রিমার উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২, ০৪:৩৯ পিএম
রোমানা ইয়াসমীন রিমা

ঢাকা : জীবনকে উপভোগ করার বিষয়টি একেকজনের কাছে একেক রকম। কেউ ভীষণ ক্যারিয়ার সচেতন। কেউ বা আবার প্রাধান্য দেন নিজের ভালো লাগাকে। দ্বিতীয় দলের একজন রোমানা ইয়াসমীন রিমা। ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে পর্দার আড়ালে থেকেই নিজেকে সফলতার উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এ উদ্যোক্তা। বর্তমানে রিমা দেশীয় ও ভারতীয় শাড়ির অনলাইন প্রতিষ্ঠান ও দুটি আউলেট ‘রিসাম ফ্যাশন’ এর কর্ণধার।

টাঙ্গাইলের মেয়ে রিমা। কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।  ছোটবেলা থেকেই শাড়ির প্রতি ছিল বিশেষ শখ। সেই জায়গা থেকেই তিনি এখন পুরোপুরি একজন উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন।

২০১৭ সাল থেকে ব্যবসা করছেন এই নারী উদ্যোক্তা। স্বামী প্রথম শ্রেণীর ব্যাংক কর্মকর্তা। দুজনের সংসারে ছিল অঢেল সময়। কি করে এই সময়টা কাজে লাগানো যায় সেটাই মাথায় ঘুরতো। সাতটি শাড়ি নিয়ে প্রথম কাজ শুরু করলেও বর্তমানে বিভিন্ন শাড়ি নিয়ে কাজ করছেন।

শুরুর গল্প নিয়ে রিমা বলেন, আমি কিছু শাড়ি কিনেছিলাম গিফট দেয়ার জন্য; শাড়ির দিকে তাকিয়ে চিন্তা করছিলাম এ শাড়িগুলো দিয়ে কি আমি কিছু করতে পারি কিনা? সেই ভাবনা থেকেই আমি আর আমার স্বামী মিলে পেজটা ওপেন করি। তখন মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়ে সাতটি শাড়ি কিনে ব্যবসা শুরু করি।

যদিও হুট করে ব্যবসায় নেমেই সফল হননি তিনি। এগিয়েছেন ধীরে ধীরে। মাত্র ৫ হাজার টাকা মূলধনে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। শ্রম, মেধা দিয়ে আস্তে আস্তে ব্যবসার পরিধি বাড়ান। শুরুতে তাঁতিদের থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করতেন। তিনি নিজে নকশা, রঙ পছন্দ করে ক্রেতাদের জন্য কাতান শাড়ি নিয়ে আসেন।

ব্যবসা করতে কি কি সমস্যায় পড়তে হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে রিমা বলেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন ছিল পর্দানশীল নারী হিসেবে ক্যামেরার পেছন থেকে কাজ করে ক্রেতারদের বিশ্বাস অর্জন করাটা, যেখানে অন্যরা নিজেদের প্রেজেন্ট  করে ব্র‍্যান্ড প্রোমোটারদের দিয়ে লাইভ করান। সেখানে আমি ভালো কাস্টমার সার্ভিস, রিজনেবল প্রাইস, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি দিয়ে কাস্টমারদের মনে জায়গা করে নিয়েছি।’

বিক্রেতা বাড়ায় কী ব্যবসা ক্ষেত্র নষ্ট হচ্ছে? জানতে চাইলে রিমা বলেন, ‘অনলাইন ব্যবসা করা ভালো; কিন্তু সঠিক জ্ঞান না নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। কিছু বিক্রেতা কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না পেলে বিক্রির জন্য কেনা দামে পণ্য বিক্রি করেন, একটা দেখিয়ে আরেকটা ডেলিভারি করেন। এতে বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।’

একজন সফল উদ্যোক্তা যদি সৎ, পরিশ্রমী ও নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগিতার অভ্যাস থাকে তাহলে তার সাফল্য আসবে বলে মনে করেন রিমা। এক সময় দেশের পরিধি ছাড়িয়ে পৃথিবীর সব প্রান্তে ‘রিসাম ফ্যাশনের’ নাম ছড়িয়ে যাবে -এমন স্বপ্ন দেখেন এই নারী উদ্যোক্তা। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

সোনালীনিউজ/এমটিআই