দেবরের সঙ্গে অনৈতিক কাজে গৃহবধূকে স্বামী-শাশুড়ির চাপ...

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০১৭, ০৭:৩৬ পিএম
নির্যাতিত নারীর প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ: দেবর ও ভাসুরকে বাঙালি নারীরা নিজের ভাইয়ের মতো মনে করেন। তাদের প্রতি স্নেহ আর সম্মান রক্ষা করেই চলেন। কিন্তু বোনের মতো ভাবিকেই যদি দেবরের সঙ্গে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়া হয়? তাও আবার স্বামী আর শাশুড়ি মিলে যদি চাপ সৃষ্টি কিংবা নির্মম নির্যাতন চালানো হয়, তাহলে ওই গৃহবধূর কেমন লাগে?

রোববার (২ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া গ্রামে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাই ঘটে গেছে। দেবরের সঙ্গে অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে গৃহবধূর (২৩) ওপর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, আগের রাতে তার শাশুড়ি ও স্বামী তাকে তার দেবর কাউসারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে কুড়ালের হাতল দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

গৃহবধূ আরো জানান, তার শাশুড়ি তাকে বলেন, কাউসারের সঙ্গে জ্বীন আছে। তাই তার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক করলে সংসারের উন্নতি হবে। এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে তাকে জোর করে দেবর কাউসারের ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি প্রতিবেশীদের সব ঘটনা বলে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে দেলুয়া গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে মানিক মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় ওই গৃহবধূর। এরপর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সব দাবি মেনে নিয়ে বাবা বিভিন্ন সময় টাকা দিতেন।

কিছুদিন আগে ওই গৃহবধূ কন্যাসন্তান প্রসব করেন। এরপর তাকে নির্যাতন করে বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা আনতে বলা হয়। এতে রাজি না হওয়ায় পরিবারের সবাই তাকে সংসারের উন্নতি হবে বলে দেবর ভণ্ডপীর কাউসারের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে চাপ দেয়।

এ ঘটনার জন্য স্বামী মানিক, শাশুড়ি আউলিয়া ও দেবর কাউসারের শাস্তি দাবি করেন ওই গৃহবধূ। তবে অভিযুক্ত শাশুড়ি আউলিয়া বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই