সুনামগঞ্জ : নিতাই দাস, থাকেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরের মজলিশপুর গ্রামে। যে বাড়িতে তিনি বসবাস করেন তার পেছনে ঘন ঝোপ রয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে সেখান থেকে ভেসে আসে এক শিশু কান্নার আওয়াজ। কৌতুহল নিয়ে টর্চের আলো জ্বালিয়ে নিতাই সেখানে যান। দেখেন, শীতের রাতে সত্যই এক কন্যা শিশু কাঁদছে। তার নাভিতে ‘ক্লিপ’।
নিতাই বুঝতে পারেন সদ্যজাত সন্তানকে কোনো মা অথবা বাবা ফেলে গেছেন। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর পঙ্কজ পুরকায়স্থকে। ঘটনা জেনে পুলিশে ফোন দেন তিনি। দিরাই থানা থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদস্যরা নিতাইয়ের বাড়ি এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। আপাতত শিশুটির ঠিকানা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের শিশু ওয়ার্ডে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর পঙ্কজ পুরকায়স্থ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর দিলে নিতাই দাসের বাড়ি গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করি আমরা। শিশুটি মেয়ে। তার নাভিতে ক্লিপ লাগানো ছিল।’
ওসি জানান, শিশুটেকে উদ্ধারের পর সরাসরি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করান তিনি। নজরুল ধারণা করছেন, হাসপাতাল কিংবা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স দিয়ে প্রসব করানো হয়েছে শিশুটিকে। পরে নিতাই দাসের বাড়ির পেছনে ফেলে দেওয়া হয়েছে সদ্যজাতকে। তারা খোঁজ নিচ্ছেন।
সোনালীনিউজ/এএস
আপনার মতামত লিখুন :