• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অবিক্রীত পশু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জুলাই ৯, ২০২১, ১০:৫৩ পিএম
অবিক্রীত পশু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

কুষ্টিয়া : ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে খামারিদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ততই বাড়ছে। প্রতি বছরের মতো দেশের বিভিন্ন হাটে বিক্রির জন্য এবারও জেলায় দেড় লাখেরও বেশি গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ এবং ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের কারণে সারা দেশেই কুষ্টিয়া অঞ্চলের পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

অন্য বছর ঈদের এক-দেড় মাস বাকি থাকতেই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বেপারিরা পছন্দের গরু-ছাগল ক্রয়ের জন্য কুষ্টিয়ায় ভিড় করতেন। কিন্তু করোনার কারণে এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় এখানকার প্রায় ১৮ হাজার খামারি।

এছাড়া বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার কারণে গত কোরবানির ঈদের প্রায় ২০-২৫ ভাগ অবিক্রীত পশু।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে এবারও যদি পশু বিক্রি করতে না পারেন তাহলে এ অঞ্চলের হাজার হাজার খামারি একেবারেই পথে বসবেন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, করোনার কারণে শেষ পর্যন্ত পশুর হাট চালু না হলে এ বছরও অর্ধেকেরও বেশি পশু অবিক্রীত থেকে যাবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, এ বছর কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে জেলায় প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে গরু ৯০ হাজার। ছাগল ৬১ হাজার।

গত বছরের তুলনায় এবছর পশুর সংখ্যা বেশি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪৮ হাজার। তিনি বলেন, সার্বিক অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে না। করোনার কারণে লকডাউনে জেলার ১৫টি হাটের সব কটি বন্ধ। জেলার চাহিদা পূরণ করে প্রায় ৭০ শতাংশ গরু ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন হাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু করোনার কারণে জীবন-জীবিকা এখন প্যারালাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশুর হাট বন্ধ থাকায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে অনলাইনে বিক্রির জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। জেলায় এরই মধ্যে অনলাইনে পশু বিক্রি শুরু হলেও তা খুবই অপ্রতুল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!