ভুট্টা চাষ
মেহেরপুর: মেহেরপুরে গাংনী উপজেলায় এবার সবচেয়ে বেশী ভুট্টার চাষ হয়েছে মাঠের মধ্যে সবুজ পাতার আড়ালে হাসছে হলুদ রঙের ভুট্টা মাথায় লাল-খয়েরি ফুল, গায়ে হলুদ বর্ণের এসব ভুট্টা দোল খাচ্ছে বাতাসে। উৎপাদন বেশি, খরচ কম তাই ভুট্টাচাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ভুট্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এখানকার কৃষকদের। কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী গাংনী উপজেলায় এবার ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। এবছর গম ও মসুরী চাষ বেশী হওয়ায় ভুট্টা চাষ গতবছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
কৃষকরা জানান, ধান চাষের পর ভুট্টা চাষটা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। কারণ ভুট্টা চাষে লাভ বেশি। ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং ভুট্টার গাছ ও সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবেও এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। একসাথে অনেকগুলো সুবিধার কারণে এ চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের।
আদিকাল থেকে বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে আসছে। উচ্চফলন, বেশি লাভ আর চাহিদা অনেক থাকায় সম্প্রতি বছরগুলোতে ভুট্টা চাষাবাদ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি ভুট্টা ক্রয় করছেন।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান, শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, মাটির উর্বরতা যেন ঠিক থাকে এবং চাষীরা যাতে পরিকল্পিতভাবে ভুট্টার আবাদ করতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। আমরা এবার সরকারী ভাবে ভুট্টার হ্ইাব্রিড জাতের বালাজি, সম্রাট, পাইওনিয়ার-৯২, ৭৭৬০, প্যাসেফিক, কনক ইত্যাদি জাতের বীজ উপজেলার ২ হাজার কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে ভুট্রার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ভুট্রার প্রদর্শনী পরিদর্শন করে করণীয় ভুট্টা ফসলে ফল আর্মি ওয়ার্মা পোকার উপস্থিতি মনিটরিং করে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে ।
এছাড়া ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি। এতে প্রায় ১১ভাগ আমিষ জাতীয় উপাদান রয়েছে। আমিষে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন অধিক পরিমাণে আছে। এছাড়া হলদে রংয়ের ভুট্টা দানায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন বা ভিটামিন-এ থাকে। পুষ্টিমান অধিক থাকায় ভুট্টা বর্তমানে গোখাদ্য হিসাবে বেশী ব্যবহার করা হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/এআই/এসআই







































