• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম


হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জুন ১৬, ২০২২, ১১:২০ এএম
হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

দিনাজপুর: সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা। এতে সস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে। 

বৃহস্পতিবার  (১৬ জুন) বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ভালো মানের পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আর নিম্ন মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। তবে আদা রসুনের দাম ভিন্ন রকম। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি। পুর্বে যে রসুন বিক্রি হয়েছিল ৮০ টাকা কেজি, সে রসুন আজকে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। আর আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এক সপ্তাহের পূর্বে যে আদা বিক্রি হয়েছিল ৬০ টাকা কেজি সেই আদা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। আমদানি কম হওয়ায় কারনে আদার দামটা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন রুবেল বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে বাজারে দেশি পেয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত। হিলি বাজারে ১ মাস থেকে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল ছিল। তবে ১ সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা। আর রসুনের দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি। তবে আদার দামটা ভিন্নতা। সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। 

বাজারে পণ্য কিনতে আসা করিম বলেন, আমাদের হিলি বাজারে পাইকারি দোকানগুলোতে ভারতের পেঁয়াজ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ দেখাই যেত না।তবে বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিটা দোকানে দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এবং দামটাও কম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা। এতে আমাদের সাধারন মানুষের মাঝে ফিরেছে সস্তি।

পেঁয়াজের দোকানে কথা হয় আরেকজনের সাথে তিনি বলেন,  আমি আজকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলাম পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমছে তাই ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম।  তবে রসুনের দাম শুনলাম কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। তাই রসুন ও এক কেজি নিলাম। এই রকম দাম কমলে আমাদের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুবই উপকার হবে। প্রশাসনের কাছে আবেদন প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করা হলে হয়ত পন্যের দামটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

বাজারে কথা হয় রিকশা চালক সরোয়ারের সাথে তিনি বলেন,  আমরা দিন আনি দিন খাই। প্রত্যেকদিন আয় করি। প্রত্যেকদিন বাজার করি। আজকে বাজারে আসছিলাম আদা নেওয়ার জন্য এসে দেখি আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। কি আর করব দাম কম হলেও নিতে হবে। আবার বেশি হলেও নিতে হবে। খেতে হবে তো নাকি?

আরেকজন সবজি ক্রেতা বলেন, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের যে ভাবে দাম উঠানামা করতেছে আমরা কি কিনবো আর কি রাখবো তা ভেবে পাচ্ছি না। 

সোনালীনিউজ/এসআই/এসআই

Wordbridge School
Link copied!