• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এডিশনাল এসপি ও কনস্টেবলের মৃত্যুর যোগসূত্র খুঁজছে পুলিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২১, ২০২২, ০৩:০৭ পিএম
এডিশনাল এসপি ও কনস্টেবলের মৃত্যুর যোগসূত্র খুঁজছে পুলিশ

মাগুরা: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একই জেলার আলাদা জায়গা থেকে দুই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) খন্দকার লাবণী আক্তার। অন্যজন পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।

মাহমুদুল ছিলেন গুলিবিদ্ধ আর লাবণীর মরদেহ পাওয়া গেছে ঝুলন্ত। তারা দুজনেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান মাস দেড়েক আগেও এডিসি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন। 

ঘটনাটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মাগুরার। জেলার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কনস্টেবল মাহমুদুল ওই পুলিশ কর্মকর্তার দেহরক্ষী ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছি। দুজনের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।’

লাবনী আক্তার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদের পাড়া ইউনিয়নের পরালিদহ গ্রামের শফিকুল আজমের মেয়ে। তিনি খুলনা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩০তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।

এডিসি লাবণীর স্বামী বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী-পরিচালক তারেক রহমান ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে এসেছে।

লাবনীর বাবা শফিকুল আজম বলেন, ১৭ জুলাই এক সপ্তাহের ছুটিতে লাবনী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গ্রামের বাড়িতে এসে সে শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সারঙ্গ দিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে ছিল। বুধবার গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায়, দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

মেয়ের আত্মহত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে স্বামী তারেক রহমানের দাম্পত্য কলহ ছিল। তারা বেশ কিছুদিন আলাদা ছিলেন। কলহের কারণে সে আত্বহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। সে এর আগেও দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল।’

অন্যদিকে প্রায় একই সময়ে শ্রীপুর (ঘটনাস্থল) থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে শহরের পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে ‘আত্মহনন’ করেছেন পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, বুধবার রাতে ডিউটি শেষে পুলিশ লাইনের ব্যারাকে ফেরেন কনস্টেবল মাহমুদুল। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় ব্যারাকের ছাদে ওঠেন তিনি। এ সময় নিজের নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করেন।

২৩ বছর বয়সী কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে খুলনা থেকে মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন।

তারা বাবা খন্দকার রেজাউল হক বলেন, ‘আমার ছেলে বছর দুইয়েকের বেশি হলো পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পায়। শুরু থেকেই সে খুলনায় ছিল। মাস দেড়ক আগে তাকে মাগুরায় বদলি করা হয়।’

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!