• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

যুবদল নেতা হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৭:৪৮ পিএম
যুবদল নেতা হত্যা মামলায় সব আসামি খালাস

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা মো. মিজান ওরফে বোমা মিজান হত্যা মামলায় ৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। সত্য ও ন্যায় ভিত্তিক রায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন আসামি। 

এদিকে রায় শুনে আদালতে উপস্থিত থাকা বাদী শিউলি আক্তার ভেঙে পড়েছেন। এসময় বক্তব্য জানতে চাইলে কোন কিছু না বলেই চলে যান তিনি। 

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মান্দারী ইউনিয়নের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনির হোসেন, জামাল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আবু সিদ্দিক মিশু, ফয়সাল, মোরশেদ আলম ও বেলাল হোসেন। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিজান মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের আবদুল হামিদ মুন্সির ছেলে। তিনি ডাকাতি ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার অত্যাচারে স্থানীয়রা জর্জরিত ছিল। একটি বাহিনী তৈরি করে এলাকায় তিনি অপকর্মের রাজত্ব গড়ে তুলেছিল। তার ভয়ে সন্ধ্যার পর পরই দরজায় তালা ঝুলিয়ে সবাইকে ঘুমাতে হত। বাইরে বের হতো না কেউই। তার মৃত্যুর পর স্থানীয় বাসিন্দারা অত্যধিক খুশি হয়েছেন। তার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেয়ে এখন স্থানীয়রা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন বলে জানা গেছে। 

এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে অভিযুক্তরা ঘর থেকে মিজানকে ডেকে নিয়ে যায়। দরজা খুলে মামলার বাদী ও মিজানের স্ত্রী শিউলি আক্তার অভিযুক্তদের দেখতে পায়। এরপর থেকে মিজান ঘরে ফিরেনি। এতে শিউলি অভিযুক্ত মনিরসহ কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করেন। কিন্তু কেউই কোন কিছু বলেনি। ১৬ অক্টোবর সকালে মোহাম্মদনগর গ্রামে মনিরদের বাড়ির পুকুরের আড়ায় গাছের শেকরের ভেতর থেকে মিজানের হাত দেখা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৮ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে শিউলি। পরবর্তীতে মামলাটি একাধিকবার তদন্ত হয়। তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন লক্ষ্মীপুর মডেল থানার এসআই হিমেল রায়, পুষ্প বরণ চাকমা ও জেলা সিআইডির এসআই মো. শাহজাহান। ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামি ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদেরকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আমরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। 

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন সোনালীনিউজকে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার ঘটনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এতে আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। 

সোনালীনিউজ/এম
 

Wordbridge School
Link copied!