• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণ হয়নি ৬টি গার্ডার ব্রীজ


নীলফামারী প্রতিনিধি  জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৩:০০ পিএম
মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণ হয়নি ৬টি গার্ডার ব্রীজ

নীলফামারী: নীলফামারী সদরে জনগণের যাতায়াতের পথ সুগম করতে ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের আওতায় উদ্বোধন করা হয়েছে ৬টি গার্ডার ব্রীজ। উদ্ধোধনের নামে টেন্ডার ছাড়াই পূর্বের ব্রীজ গুলো অপসারণ করেছে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পারাপার হচ্ছে যানবাহনসহ জনসাধারণ। বিঘ্ন ঘটছে কৃষি প্রধান এ অঞ্চলের কৃষকদের চাষাবাদের। নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হলেও পাইল বসানো হয়েছে মাত্র একটি ব্রীজের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শালমারা রাস্তার চৈতার কুড়ায় গার্ডার ব্রীজ, নীলফামারী-ডোমার মহাসড়ক নীলাহাটি বাজার থেকে কাচারীগামী রাস্তা দেয়ার কুড়ার পাড়ে গার্ডার ব্রীজ, কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আরাজী রামকলা থেকে পার্শ্ববর্তী পাটকামড়ী যাওয়ার রাস্তায় লালুর বাড়ীর কাছে গার্ডার ব্রীজ, ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়ালখাতা বাইপাস রাস্তা হইতে মকলেছ মাস্টারের বাড়ি যাওয়ার রাস্তায় বামনডাঙ্গা নদীর উপর গার্ডার ব্রীজ, গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সিকলটারী যাওয়া রাস্তায় বিশ ডারার ডাঙ্গার উপর গাডার ব্রীজ ও সোনারায় ইউনিয়নের সর্দ্দারপাড়া হতে ব্যাংপাড়া রাস্তায় আফাজ উদ্দিনের বাড়ির নিকট গার্ডার ব্রীজ। 

চৈতার কুড়ায় গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের ৬৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৩৬টাকা, দেয়ার কুড়ার পাড়ে গার্ডার ব্রীজ ৭০ লক্ষ ১৩ হাজার ৮২৭ টাকা, লালুর বাড়ি গাডার ব্রীজ ৭১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৪৩টাকা, বিশ ডারা ডাঙ্গায় ৬৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ২০০টাকা, আফাজ উদ্দিনের বাড়ি গাডার ব্রীজ ৭৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৭৬টাকা ও বামনডাঙ্গায় গাডার ব্রীজ ৭৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৬৬৬টাকা ব্যয়ে নির্মিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চালু করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। একটি ব্রীজের পাইল বসানো ছাড়া কোন কাজেই করেনি ঠিকাদাররা। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে ২০২১-২২ অর্থ বছরের অর্থায়নে ৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৪৮ টাকা ব্যয়ে ৬টি ব্রীজ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী। একই দিনে অন্যান্য ব্রীজ গুলোর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এমপি। উদ্বোধনী দিন থেকে নির্মাণ কাজের সমাপ্তি হওয়ার কথা একই বছরের ২১ আগষ্ট।

উদ্বোধনের নামে অপসারণ করা হয় পূর্বের ব্রীজ গুলো। ব্রীজের কাজ থেমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওইসব এলাকার পথচারীরা। চলাচলের পথ না থাকায় বিকল্প পথে যাতায়াত করতে প্রতি মুহুর্তে ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির পর নতুন ব্রীজের উদ্বোধন হলে দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে এই আশায় ছিলো এলাকাবাসি। কিন্তু নির্মাণ হতে যাওয়া ব্রীজ গুলোর নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবারো হতাশায় দিন কাটছে বলে জানান পথচারীরা। ব্রীজ গুলো নির্মাণ না হওয়ার ফলে সাধারণ জনগণকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। পুরাতন ব্রীজ গুলো না থাকায় কিছু জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করেই এপার-ওপার যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ৬টি ব্রীজ নির্মাণের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে চার মাসে পা রাখলেও মাত্র একটি ব্রীজে পাইল বসানো হয়েছে বলে জানালেন নির্মাণ কাজের মিস্ত্রি। পথ চলাচলের দূর্ভোগ কমাতে দ্রুত ব্রীজ গুলো নির্মাণের দাবী ভূক্তভোগীদের।

এদিকে নির্মাণ কিংবা ব্রীজ অপসারণের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বর্ষার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম। 

জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল করিম মুঠোফোনে বলেন, মালপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে ঠিকাদারদের সময় লাগছে। আপনাদের সহযোগীতা পেলে দ্রুতগতিতে ব্রীজের কাজ শেষ করতে পারবে তারা। 

সোনালীনিউজ/এ/এসআই
 

Wordbridge School
Link copied!