• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউএনওর চড়ে কান ফাটল সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের


বাগেরহাট প্রতিনিধি মার্চ ২, ২০২৩, ০৯:৪১ এএম
ইউএনওর চড়ে কান ফাটল সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের

বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেনের চড়ে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমানের কান ফেটে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে ফকিরহাট সদরের কাঠালতলা মোড়ে এঘটনার পর শেখ মিজানকে প্রথমে ফকিরহাট হাসপাতালে নেওয়ার পর তার কান থেকে রক্তক্ষরণ না থামায় সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

তবে ফকিরহাটের ইউএনও বিষয়টি অস্বীকার করলেও জেলা প্রশাসক বলেছেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের গায়ে হাত তোলা একজন ইউএনও’র কাছে কাম্য নয়। 

আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানের ছোটভাই শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, দুপুরে শেখ মিজানুর রহমান তার গরুর খামারে যাওয়ার পথে কাঠালতলা মোড়ে তার মোটরসাইকেলে থাকা ফুলঝাড়ু ইউএনও’র গাড়িতে লাগে যায়। এসময় ইউএনও’র গাড়িচালক বাদশা আলম আমার ভাইকে ধমক দেয়। একপর্যায়ে ইউএনও গাড়ি থেকে নেমে লোকজনের সামনে মিজানুর রহমানকে চড় মেরে কান ফাটিয়ে দেন। এরপর জোর করে মিজানুর রহমানকে গাড়িতে তুলে পাইকপাড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে আসেন। এসময় তাকে গাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখে ইউএনও একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়র ক্ষুব্ধ হয়ে যান। প্রায় একঘণ্টা পর মিজানুর রহমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে  আহত অবস্থায় ফকিরহাট উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। ইউএনও’র চড়ে ফেটে যাওয়া কান থেকে রক্তক্ষরণ না থামায় তাকে সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  
 
সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমান জানান, তিনি মোটরসাইকেলযোগে ফুলঝাড়ু নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে ইউএনও গাড়িতে ফুলঝাড়ু সামান্য স্পর্শ হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চড় মেরে আমার কান ফাটিয়ে দিয়েছেন। এরপর জোর করে গাড়িতে তুলে আমাকে পাইকপাড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে আসেন। এসময় আমাকে গাড়িতে রেখে ইউএনও একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে থাকলে ঘণ্টাখানেক পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন লাঞ্ছিত করার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তার গাড়ির সাথে মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগলে তিনি তাকে তার সরকারি গাড়িতে উঠতে বলেন। এসময় মিজানুর রহমান গাড়িতে উঠতে অস্বীকার করেন। পরে তাকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। মিজানুর রহমানের পরিচয় পাওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 
 
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, একজন নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি কাম্য নয়। কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। কেই অপরাধ করলে আইনের বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়। প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!